পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৪৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VS)bye যশোহর-খুলনার ইতিহাস । পুত্র জুলহাস, তিনি শিকারে গিয়া নিরুদেশ হন। দ্বিতীয় পুত্র গাজী ; ইহা ব্যতীত এক পালিত পুত্র ছিলেন, তাহার নাম কালু। রাজারাণী প্রাপ্তবয়স্ক গাজীকে রাজা দিতে চাহিলেন, কিন্তু তিনি কিছুতেই তাঁহা লইলেন না ; রাজা হিরণ্যকশিপুর মত র্তাহার উপর কত অত্যাচার করিলেন, কিছুতেই ফল হইল না। গাজী গোপনে কালুকে সঙ্গে লইয়া পলায়ন করিলেন, এবং বাঙ্গালাদেশে সুন্দরবনে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। সেখানে বাঘ, কুমীর, সবই তাহার বশীভূত। কিন্তু নানাস্থান ভ্রমণ করাই ফকিরের রীতি বলিয়া গাজী কালু ছাপাইনগরে শ্রীরামরাজার দেশে পৌছিলেন ; রাজবাটীতে অগ্নি লাগিল, রাণী অপহৃত হইলেন, অবশেষে যে দেশে একজনও মুসলমান ছিল না, সে দেশে সব মুসলমান হইয়া নিস্তার পাইল। ছাপাই নগরে একটি সুবর্ণমণ্ডিত মসজিদ প্রস্তুত হইল। অবশেষে তাহারা সোণারপুরে ও পরে ব্রাহ্মণনগরে রাজা মুকুটরায়ের দেশে গেলেন। মুকুটরায়ের সাত পুত্র ও এক কন্যা, তাহার নাম চম্পাবতী। চম্পাবতীর মত সুন্দরী আর নাই, গাজী তাহাকে পাইবার জন্ত পাগল হইলেন। মুকুটরায় যবনদ্বেষী ব্রাহ্মণ, তাহার দেশে সব ব্রাহ্মণ ; তিনি যবনের মুখ দেখিলে ত্রিরাত্র ( অশৌচ প্রতিপালন ) করেন। মুকুটরায়ের কন্যার সহিত গাজীর বিবাহের প্রস্তাব করিতে কালু রাজদরবারে উপনীত হইলেন ; রাজা যবনের আস্পদ্ধা দেখিয়া কালুকে বন্দী করিলেন। তখন গাজীর সহিত প্রকাগু যুদ্ধ বাধিল । গাজী অসংখ্য ব্যাঘ্র সৈন্য লইয়া গোপনে নদী পার হইয়া মুকুটের রাজপুরী আক্রমণ করিলেন। মুকুটরায়ের এক দিগ্বিজয়ী বলশালী সেনাপতি ছিলেন, তাহার নাম দক্ষিণরায়। তিনি কুমীর লইয়া গাজীর সহিত যুদ্ধ করিতে আসিলেন, কিন্তু ডাঙ্গায় কুমীরে কি বাঘের সঙ্গে পারে ? দক্ষিণরায় গদtহস্তে গৰ্জ্জিয়া আসিয়া গাজীর “আসা” ভাঙ্গিয়া দিলেন । কিন্তু দৈবশক্তিতে অবশেষে তাহাকে পরাজিত হইতে হইল । গাজী দক্ষিণরায়ের কণিকাটিয়া, “বার হাত লম্বা” টিকি কাটিয় তাহাকে বাধিয়া রাখলেন। এবার "বারকোটা নয় শত সেন” ও “লক্ষ লক্ষ তোপতীর” । প্রভৃতি লইয়া মুকুটরায় স্বয়ং যুদ্ধে অবতীর্ণ হইলেন ; দিনে দিনে যুদ্ধ চলিতে লাগিল, প্রত্যহ রাত্রিতে মুকুটরায় তাহার মৃত্যুজীব কুপ হইতে জল ছিটাইয় হাতী, ঘোড়া, লোকজন সব বঁাচাইয়া দিতেন। তখন গাজী গঙ্ক মারিয়া রক্ত