পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ-নদী সংস্থান। Σδ পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে যে অনেক সময় আপাততঃ প্রয়োজনীয় একটা সুবিধার জন্য কোন সহৃদয় কর্তৃপক্ষ একটা খাল কাটিয়া বিষম অনর্থের উৎপত্তি করিয়াছেন । ভৈরবের ভাগ্যে এভাবে নানা বিপত্তি হইয়াছে। পদ্মার ২৩ টি প্রধান শাখার সহিত ভৈরবের সংযোগ বলিয়, ইহাতে যথেষ্ট পাৰ্ব্বত্য স্রোত প্রবেশ করিবার সুবিধা ছিল। কিন্তু ভৈরব তাহাতে বঞ্চিত হইয়াছে। সরকারী রিপোটে দেখা যায়, যেখানে ভৈরব হইতে কপোতাক্ষ বাহির হইয়াছিল, ১৭৯৪খুঃ অব্দে ঐস্থানে চর পড়িতেছিল। যশোহরের কালেক্টারের চেষ্টার ফলে বাধদ্বারা কপোতাক্ষস্রোত বন্ধ করিয়া যশোহর প্রভৃতি সহরের জন্য ভৈরবকে অব্যাহত রাখিবার চেষ্ট হয়। কিন্তু দুৰ্দ্দান্ত স্রোতে সে চেষ্টা মানিল না। তাহিরপুরের নিকট বাধটা বাদ দিয়া মূলস্রোত পুনরায় দক্ষিণমুখে কপোতাক্ষে প্রবাহিত হইতে লাগিল। ফলে ভৈরব দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িল। দশনা ষ্টেশনের কাছে ভৈরবমাথাভাঙ্গার চক্রাকৃতি বাকের কথা বলা হইয়াছে। ২০২৫ বৎসর পরে নদীয়ার কালেক্টর সেক্স পীয়র সাহেব * একটি ক্ষুদ্র থাল কটিয়া ঐ বাকে মাথাভাঙ্গার পথ সোজা করিয়া দেন। বাকের দক্ষিণপূৰ্ব্ব কোণ হইতে ভৈরব বাহির হইয়াছিল। সোজা পথ পাইয়া সমস্ত জল মাথাভাঙ্গায় চলিতে লাগিল, বাধ মজিয়া ভৈরবের সম্বন্ধ একপ্রকার রহিত করিয়া দিল। পদ্মার জল এপথে বড় একটা আসিত না ; যাহা আসিত, তাহাও প্রায় সব টুকু কপোতাক্ষ টানিয়া লইত। ফলে ভৈরব অচিরে মরিয়া গেল ; বমুন্দিয়ার নিম্নে যেখানে আফরার খালের দ্বারা চিত্রার জল ভৈরবে আসিয়া পড়িতেছিল, সেই পৰ্য্যন্ত ভৈরবে নৌকার চলাচলও বন্ধ হইয় গেল। আফরার খালের মুখ হইতে আলাইপুর পর্যন্ত ভৈরব বেশ বিস্তৃত রহিল । এখনও সেইরূপ আছে। কারণ মুজদখালি, আতাই, আঠারবাকী : দিয়া পাৰ্ব্বত্য স্রোত উহার পুষ্ট সাধন করিতেছিল। এবং এই জলোচ্ছ,সি লইয়া ভৈরব ভীষণ বিক্রমে আলাইপুর হইতে যাত্রাপুর পর্য্যন্ত প্রবাহিত ছিল । পশর একম্বদর বনের নদী। উহারসহিতকোন দিকে পাৰ্ব্বত জলের সংযোগ ছিল না ; ইহাতে সমুদ্রের জোয়ার ভাটা খেলিত মাত্র। পশরতখন খুলনার পূর্বদিকে বিল পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল। উহার সহিত ভৈরবের কোন সম্বন্ধ ছিল না। বিঙ্গ পাবল হইতে"শ্মশানঘাটের খাল” নামক ক্ষুদ্র নী খুলনার দক্ষিণেমৈার গাঙ্গে • Westland's Report P. 5.