পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৫১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Ꮌbr যশোহর-খুলুনার ইতিহাস । জিনিসপত্র থাকিত, রাত্রিতে উহার উপর গুইবার বিছানা পড়িত। ইহা হুড়কা ও প্রকাগু কুলুপ দিয়া বন্ধ থাকিত। গরিব লোকে ঘরের মধ্যস্থলে গৰ্ত্ত কাটিয়া তাহার ভিতর জিনিষপত্র রাখিয়া উপরে বিছানা পাতিয়া শুইত। চোরের ভয় কম ছিল না। সাধারণ লোকে ভাত খাইবার জন্ত থালা অপেক্ষাও পাথরের পাত্র অধিক ব্যবহার করিত ; পিত্তলের ঘটা ও গাড়, কাসার বাট ও ফেব্রুয়৷ ব্যবহৃত হইত ; মুসলমানেরা বদন ও আবাখার প্রভৃতি চালাইয়াছিলেন। হিন্দুরা তাম্রনিৰ্ম্মিত পূজার সাজ ব্যবহার করিতেন, কিন্তু তামার কোন পাত্র সাধারণ সাংসারিক কাজে লাগাইতেন না। মুসলমানেরা তামার বদন তাহাঁদের জাতীয় চিহ্নের মত করিয়া লইয়াছিলেন। যাহারা নূতন মুসলমান ধৰ্ম্ম লইতেন, তাহাদের বাড়ীর সন্মুখে একটি বদন টাঙ্গান থাকিলে লোকে প্রকৃত ব্যাপার বুঝিত। মুসলমানেরা বড় বড় তামার ডেক কালাই করিয়া ব্যবহার করিতেন; হিন্দুদের ছিল পিত্তলের হাড়ি এবং বহু কার্য্যে বহুভাবে ব্যবহৃত বহুগুণ বা বগুণ । হুসেন সাহের গোড়ে ধনীরা স্বর্ণপাত্রে পান তোজন করিবার প্রবাদ থাকিলেও তেমন ভাগ্য দীন যশোহর-খুলনার লোকের হইয়াছিল কি না সন্দেহ। কারণ, গ্রাম্য লোকের দিন স্বভাবজাত সুলভ দ্রব্যে সুথে চলিয়া বাইত বটে, কিন্তু তাহারা বাহিরের অর্থ আনিয়া অনর্থক বিলাস-বিভ্রাটে সমৃদ্ধিবৃদ্ধি করিবার অবসর পাইতেন না। পরবর্তী যুগে যখন বঙ্গের চক্ষু যশোরে নিপতিত হইয়াছিল, তখন যশোর গৌড়ের যশ; হরণ করিয়াছিল বলিয়া প্রমাণ আছে। ভগবানের আশীৰ্ব্বাদে, আমরা দ্বিতীয় খণ্ডে সে যুগের কথা বলিব।