পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭ যশোহর-খুলনার ইতিহাস । করিয়াছে। সেখানে ইহার গতি মৃদ্ধ বলিয়া সমুদ্রে পড়িবার পূৰ্ব্বে গঙ্গা পলির বোঝা নামাইয়া যায়। উহা হইতে জমি উদ্ভূত হইলে মধ্যবৰ্ত্ত জলভাগ পাৰ্ব্বত্য স্রোতের সংযোগ সাধন করিবার জন্য নদী হইয়াছিল। সে সব অণকাৰ্বাক নদীপথে পলি বাহিত হয়। উহাদ্বারা তীরভূমি ক্রমশঃ উচ্চ হইতে থাকে। নদী হইতে দূরবর্তী অংশ সে ভাবে উচ্চ হয় না ; নদীতীর উচ্চ ও তাহার পরবর্তী স্থান নিম্ন থাকে। বৃষ্টির জলধারা ভূমিপৃষ্ঠ ধৌত করিয়া নদীতে প্রবাহিত হওয়াই সঙ্গত ও স্বাভাবিক। কিন্তু তাহ হয় না, কারণ বোধ হয় তাহা হইলে নিম্নভূমি উচ্চ হইবার আর উপায় থাকে না। বৃষ্টিজল সেই নিম্নভূমিতে সঞ্চিত হইতে থাকে। ইহাতে ভূমিভাগ ধুইয়া লইয়া গেলেও সেখানে যথেষ্ট জল জমে। এই জল নদীতে আনিবার জন্ত স্বাভাবিক বা কৃত্রিম প্রণালীর প্রয়োজন হয়। ইহাই খাল বা নালা। যেখানে স্বাভাবিক থাল থাকে না, সেখানে মনুষ্ণুে খাল কাটিয়া জল নিঃসরণের ব্যবস্থা করে। যেখানে মনুষ্য-হস্ত তত সবল নহে, সেখানে মধ্যভাগে জল জমিয়া জলাভূমি হয়। উহার নাম বিল। এক নদীর উচ্চ পাহাড় হইতে অন্ত নদীর উচ্চ পাহাড় পর্য্যন্ত এই সব বিল বিস্তৃত থাকে। যেখানে দুই নদীর দূরত্ব অধিক, সেখানে বিলও খুব প্রকাও। পলি দ্বারা জমি জমাইয়া উচ্চ করিতে পারিলেই নদীর কৰ্ত্তব্য শেষ হয় ; তখন নদী ক্রমশঃ শীর্ণকায় হইয় গত হয় বা গতি পরিবর্তন করিয়া অন্ত স্থানে কাৰ্য্য করিতে থাকে। যেখানে নদী মরিয়া যায়, বা সরিয়া যায়, উভয় স্থানেই থাত থাকে। সে থাতে জল জমে। এইরূপে জলপূর্ণ প্রাচীন খাতকে বানোড় বা বাওড় বলে ; কোন কোন স্থানের লোক ইহাকে “গোগ” বা “ঘোগ” বলে। শুধু বিল বাওড় নহে, নিম্ন জলাভূমিকে অনেক স্থানে “ঝিল, “দোহা প্রভৃতি নামেও আখ্যাত করে। এইরূপ বিল, ঝিল, খাল, বাওড় গাঙ্গেয় উপদ্বীপের অবগুম্ভাবী পরিণাম । যশোহর-খুলনা জেলায় এই বিল বঁাওড়ের অভাব নাই। যেখানে নদী আছে, তাহারই পাশ্বে বিল, বাওড় বা গোগ, আছে। আর এ নদীমাতৃক দেশে নদী নাই এমন স্থান নাই। যশোহর জেলায় মরা নদীই হউক, আর খুলনার বেগবতী নদীসমূহই হউক, নদী সৰ্ব্বত্র আছে। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামে

  • "When the Ganges reaches its delta in Lower #Bengal, the fall of the river is so slight, that the current seldom sufficient to enable it to carry its burden, deposs its sit.” Ibid. -