পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ-অস্থাস্থ্য প্রাকৃতিক বিশেষত্ব । vද්‍රිථ যথেষ্ট উলুখড় পাওয়া যায়, আর খুলনায় সুন্দরবনে পাওয়া যায়, প্রচুর পরিমাণে গোলপাতা। সুতরাং ঘরের ছাউনী প্রায় খড় বা গোলপাতা দ্বারা হয়। গোলপাত সস্তা বলিয়া সাধারণের তাহাই ব্যবস্থা। এ অঞ্চলে বাশের অভাব নাই, এবং সে স্বাগও ভাল এবং শক্ত। কাটাল, সোণালি ও তালগাছে খুটি হয়, তাহা ছাড়া সুন্দরবন হইতে সুন্দরী, পশুর, আমুর বা গরাণ প্রভৃতি খুটির জন্ত আমদানী হয়। পূৰ্ব্বে যত ইত, এখন তত আসে না বটে, কিন্তু তবুও কিছু কিছু আসে ; লোকে পয়সার বলে শাল সেগুণের দিকে অধিক দৃষ্টি না দিলে আরও আসিত। বাশের কাচনী বা ছিটে এবং নলের দড়মার বেড়া ভাল, অভাবে অল্প খরচে হোগলাপাতার ব্যবহার হয়। দক্ষিণদেশীয় বিলের মধ্যে নল এবং লবণাক্ত নদীর ধারে, ঙ্গেগলা অত্যধিক পরিমাণে জন্মে। এই সকল সাধারণের ব্যবহারোপযোগী ঘর তাঙ্গাদের শরীরের পক্ষে অস্বাস্থ্যকর নহে । বায়ু—এ দেশে শীতকাল ভিন্ন সময়ে দক্ষিণদিক হইতে বাতাস বহে। শীতকালে উত্তরের বাতাস আসে, উছা অত্যন্ত ঠাও। ঝড় উত্তর ও পশ্চিমদিক্‌ ইষ্টতে অধিক হয়, এজন্ত বাড়ী প্রস্তুত করিবার সময় ঐ দুষ্ট দিকে আড়ালের ব্যবস্থা আছে। এ দেশে বায়ুকোণ বা উত্তর-পশ্চিম কোণ বায়ুকোণই বটে, এবং পশ্চিমাঞ্চলের মত পশ্চিমদিক্ হইতে স্নিগ্ধ বাতাস আসে না । বাড়া প্রস্তুত করিবার বিষয়ে একটা সাধারণ উপদেশ আছে — দক্ষিণে ফাক, উত্তরে বাগ পূবে হাস, পশ্চিমে বাশ । অর্থাৎ দক্ষিণদিকে ফাক বা খোলাস্থান রাখিতে হইবে, উত্তরে ফল বৃক্ষের উদ্যান হইবে, পুৰ্ব্বদিকে পুকুর হইবে এবং তাহাতে হাস চরিবে, পশ্চিমে বঁাশঝাড়ে প্রাচীরের কাজ করিবে। এ প্রণালীতে দক্ষিণদ্বারা বাড়ী করিতে হয়, এদিকে দক্ষিণে খোলা না থাকিলে বাতাস পাওয়াই যায় না। পূৰ্ব্বদিকে পুকুর থাকিলে, সে দিকেও অনেকটা খোলা থাকিল এবং প্রাতঃস্বর্ষ্যের স্নিগ্ধ কিরণ-মালা পাওয়া গেল এবং পুকুরও অনার এবং বাহিরের কাজে লাগিল এবং পশ্চিমপারে ঘাটে বসিয়া হিন্দুদিকের পূৰ্ব্বমুখ হইয়া সন্ধ্যাহিক করা চলিল। উত্তরদিকে ঘনৰিগুপ্ত বাগানে শীত বায়ু এবং বড় হইতে রক্ষা করিল। এই দেশপ্রচলিত সাধারণ কথাটা এ অঞ্চলের বায়ু চলাচলের প্রকৃতি বুঝাইয়া দেয়। এদেশের স্থাeাঙ্গভাষ্ণ