পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ-অন্যান্থ্য প্রাকৃতিক বিশেষত্ব। లిపి এবং গাজীরহাটের পটোল ও উচ্ছে বিখ্যাত। মেটে আলু পূৰ্ব্বে খুব বেশী হইত ; এখনও হয়, লোকে বড় একটা খায় না। অনেকে অন্য বিলাতী জিনিষের মত আমড়া, বিলাতী আলু (গোল আলু) পছন্দ করিতেছে। মিষ্ট কুমড়াও একপ্রকার এখনও বিলাতী বলিয়া পরিচিত হয়। কুমড়া বা কুষ্মাণ্ড বলিতে চাল-কুমড়া বুঝাইত, উত্তর দিকে ইহাই ভূমির উপর হইয়া গেমি-কুমড়া নাম ধারণ করিয়াছে। ইহা ব্যতীত নানা জাতীয় ডাটা, পালংশাক, কাকুরোল, পানিকচু, শাক-আলু (মিঠে বা মেী-আলু) সৰ্ব্বত্র যথেষ্ট পাওয়া যায়। তালা প্রভৃতি স্থানের লঙ্কা ও ডুমুরিয়ার পালংশাক বিখ্যাত। নানাবিধ কপি, শালগম ও গোল আলুর চাষও এদেশে অনেকস্থানে হইতেছে। চই পূৰ্ব্ববঙ্গের একটা বিশেষত্ব। অনেকে এই গাছ মসলার কথা জানেন না । ইহাতে গোলমরিচের মত ঝাল, সুন্দর গন্ধ এবং ইহা শ্লেষ্মা কাশির ঔষধ। ইহা বরিশালে খুব অধিক, তন্নিয়ে খুলনায় পাওয়া যায়, যশোরে তেমন নাই। - এ প্রদেশের প্রধান খাদ্য চাউল । ময়দা যাহা ব্যবহৃত হয়, সকলই বিদেশ হইতে আসে। যশোহর অপেক্ষ খুলনায় ধান্ত ভাল হয়। যত দক্ষিণে ও পূৰ্ব্বে যাওয়া যাইবে, ধানের চাষ ততই সুন্দর। অর্থাৎ যে অঞ্চলে নদীসমূহ উপদ্বীপের স্বাভাবিক গঠনকার্য্যে লিপ্ত, ধান্ত সেইদিকে ভাল হয়। বরিশাল জেলা বঙ্গে চাউলের জন্য প্রসিদ্ধ। ইহাকে বঙ্গের শস্তভাণ্ডার বলিয়া থাকে। খুলনার বাগেরহাট মহকুমার অধিকাংশ এই শস্ত-ভাণ্ডারের অন্তর্গত। এক খুলনা জেলায় বিভিন্ন নামে সহস্র প্রকার ধান্ত জন্মে। স্থানান্তরে উহার একটি সাধ্যমত তালিক প্রদত্ত হইবে। বরিশালে ও বাগেরহাটে একপ্রকার সরু পাতল ধান জন্মে ; উহা হইতে সুন্দর ভাবে সিদ্ধ চাউল প্রস্তুত করিবার উৎকৃষ্ট প্রণালী তদেশীয় লোকে জানে। এই সিদ্ধ চাউল “বালাম” নামক একপ্রকার তদেশীয় নৌকায় বোঝাই হইয়া দেশে দেশে বিক্রয়ার্থ যাইত, তজ্জন্ত ঐ চাউলের নামই বালাম চাউল হইয়াছে। খুলনার দক্ষিণে ভাটরাজ্যে অর্থাৎ সুন্দরবন বিভাগে নানাবিধ উৎকৃষ্ট ধান্ত উৎপন্ন হয়। তাহা হইতে যে এক প্রকার সাদা মোট আতপ চাউল প্রস্তুত হইয়। খুলনা যশোরে বিক্রীত হয়, উহাকে লোকে “ভাটস্বাল” চাউল বলে। এই সিদ্ধ বালাম ও আতপ তাটিয়াল চাউলই যশোর খুলনার উৎকৃষ্ট খাদ্য। যশোরে নবগঙ্গা ও মধুমতীর কুলে মটর, খেসারী,