পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(t२ যশোহর-খুলনার ইতিহাস। খনিত হয়, তাহাতে ৯ ফুটের নিয়ে সামান্ত জোবমাটা, পরে একটু বালি এবং ক্রমে ২১ ফুট পৰ্য্যন্ত পরিষ্কার আটালমাট। তাহার নিম্নে পুনরায় ২৩ ফুট জোবমাট এবং সঙ্গে সঙ্গে ২৬ ফুট পৰ্য্যন্ত সমস্ত তলভাগটি অসংখ্য সুন্দরী প্রভৃতি গাছের প্রকাও প্রকাও গুড়িদ্বারা সম্পূর্ণরূপে সমাচ্ছন্ন ছিল। এই গুড়ি গুলির নিম্নে কিছুদূর পর্য্যন্ত দুধে মাট (শ্বেতাভ অত্যন্ত আটাল মাটী) পাওয়া যায়। ২৯ ফুটের পর পুনরায় জোবমাট ও বৃক্ষাবশেষ দেখা গিয়াছিল। এ পুকুরে ৯ ফুট হইতে ৪০ ফুট পৰ্য্যন্ত কোন বালিস্তর দেখা যায় নাই। কলিকাতা শিয়ালদহের নিকট খনিত পুষ্করিণীর ৩০ ফুট নিয়ে অসংখ্য গুড়ি পাওয়া যায়। * এই সকল পরীক্ষণ হইতে সমস্ত দক্ষিণ অঞ্চলের একট সাধারণ মৃত্তিকার অবস্থা জানা যায়, এবং সৰ্ব্বত্র যে একটা সাধারণ নিমজ্জন হইয়াছিল, তাহ প্রমাণিত হয়। মাতলা নামক স্থানে একটি পোর্ট বা বন্দর খুলিবার পর যখন সেখানে একটি পুষ্করিণী খনন করা হয়, তখন দেখা গিয়াছিল যে ৮১০ ফুট মাটীর নিয়ে একটু সংকীর্ণ স্থানে ৪০টি মুন্দরীবৃক্ষ সোজা দণ্ডায়মান রহিয়াছে ; খুলনা বা শিয়ালদহে যেমন বৃক্ষগুলির গুড়িমাত্র পাওয়া গিয়াছিল, মাতলায় কিন্তু বৃক্ষগুলি প্রায় সম্পূর্ণ দণ্ডায়মান ছিল। নিমজ্জন ব্যতীত আর কোন কারণে এরূপ হইতে পারে না। কি কারণে বা কতবার এইরূপ অবনমন হইয়াছিল, তাহ নির্ণয় করা দুঃসাধ্য। খুলনা ও শিয়ালদহে ভগ্ন বৃক্ষের গুড়ি ও উপরে জোব মাটি দেখিয়া বোধ হয় যে ভূমির নিমজ্জনের সঙ্গে সঙ্গে একটি প্রবল ঝটিকা বা জলোচ্ছাস ছিল এবং মাতলার অবস্থায় বোধ হয় শুধুই নিমজ্জন হইয়াছিল, তখন কোন ঝটিকা বা আবৰ্ত্ত উঠে নাই। সুতরাং বিভিন্ন সময়ে যে বিভিন্ন কারণে জমি বসিয়া গিয়াছে, তাহ সহজে অনুমান করা যাইতে পারে। কি কারণে এইরূপ অবনমন হইয়াছে, তদ্বিষয়ে অনেক মতভেদ আছে। কেহ কেহ বলেন বঙ্গোপসাগরের মালঞ্চ মোহানা ও রায়মঙ্গল হইতে দক্ষিণ for gossa woots (Swatch of No Ground) wits, Sol 35° • The part of chief interest in the Sealdah section is the occurrence of tree stumps in situ at the depth of 30ft. and the evidence afforded thereby of a general depression of the delta”—H. F. Blanford A. R. S. M., F. G. S. in J. A. S. B. No. XXXIII.