পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ—সুন্দরবনে মনুষ্যাবাস । لامئ দেশে এক ভীষণ অরাজকতার স্বষ্টি করিয়া “মগের মুল্লুক” করিয়া লইয়াছিল। স্থানান্তরে এই অত্যাচারকাহিনী বিশদভাবে বর্ণিত হইবে । সুন্দরবনের অনেক স্থানে পূৰ্ব্বে লোকের বসতি ছিল। এখন আর সে বসতি নাই বটে কিন্তু বসতিচিহ্নের অভাব নাই ।


:Ꮕ :---

অষ্টম পরিচ্ছেদ—সুন্দরবনে মনুষ্যাবাস । আমরা দেখিয়াছি, সুন্দরবন পূৰ্ব্বেও ছিল, এখনও আছে। তবে ইহার সীমা পরিবর্তিত হইতেছে। ইহার উত্তর ও দক্ষিণ সীমা ক্রমশঃ দক্ষিণে সরিয়৷ যাইতেছে। শ্রীযুক্ত ব্লকম্যান সাহেব টোডরমল্লের রাজস্ব তালিকা হইতে দেখাইয়াছেন যে গত ৩৪ শত বৎসরের মধ্যে সুন্দরবনের উত্তর সীমার পরিবর্তন হয় নাই। কারণ রাজস্বের পরিমাণ একরূপই ছিল। কিন্তু ১৫৮২ খৃঃ অন্ধে এই রাজস্ব হিসাব প্রস্তুত হইবার পর, প্রতাপাদিত্যের দুর্জয় প্রতিভা বদ্ধিত হয়, এবং নব নব রাজ্যাংশ তাহার করায়ুক্ত হইয় পড়ে। যেখানে জঙ্গল কাটিয়া বিক্রমাদিত্যের যশোর রাজধানী প্রতিষ্ঠিত হয়, প্রতাপাদিত্য তাহার বহুদূর দক্ষিণে গিয়া ধূমঘাট পত্তনে নূতন রাজধানী স্থাপন করেন। তজ্জন্ত উত্তরে বসন্তপুর হইতে দক্ষিণে ধূমঘাট পর্যন্ত ২২২৩ মাইল দীর্ঘ এবং আড়পাঙ্গাসিয়া হইতে যমুনা পর্যন্ত ১৫১৬ মাইল প্রশস্ত বিস্তৃত প্রদেশ সম্পূর্ণ জনাকীর্ণ হইয়া গিয়াছিল। পূৰ্ব্বদিকে চকত্র প্রভৃতি দ্বীপ নৌবাহিনীর আড্ডা হওয়ায় লোকালয়ে পরিণত হইয়াছিল। বেদকাশীতে তখন লোকের বসতি থাকায় প্রতাপাদিত্যের রাজত্বকালে সেখানে বসন্তরায় কর্তৃক মন্দিরাদি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। সুতরাং টােডরমল্লের হিসাব প্রস্তুত হওয়ার পর সুন্দরবনের উত্তর সীমা যে অনেক দূর দক্ষিণে সরিয়া গিয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। আবার প্রতাপাদিত্যের পতনের পর হঠাৎ জমি নিম্ন হুইয়া জলপ্লাবনে প্রতাপের রাজধানী প্রভৃতি জঙ্গলাকীর্ণ হইয়া পড়িতে থাকে ; ক্রমে ক্রমে অধিবাসীরা সরিয়া সরিয়া উত্তরদিকে যাইতেছিল ; এমন কি হঠাৎ দৈশিক অবস্থা

  • H. Blochmann, Geography and History of Bengal, J. A. S. B 1873, p. 231. -