পাতা:য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দশম পত্র:পাদটীকা



১৭৯

    ইহা কোনো কালেই আমাদের অভিপ্রেত নহে— আমরা প্রখর স্ত্রীস্বাধীনতার বিরোধী, এই পর্যন্ত। প্রখর স্ত্রীস্বাধীনতা কাহাকে বলে তাহার সংজ্ঞা নির্দেশ করিবার প্রয়োজন নাই। ভা. স.

    আমাদের দেশে স্ত্রীস্বাধীনতা নাই, সুতরাং স্ত্রীস্বাধীনতাকে কতরূপে যে মারপ্যাচ হইতে বাঁচাইয়া চলিতে হয় সে বিষয়েও তাঁহাদের অভিজ্ঞতা নাই, এমত স্থলে যদি ‘স্ত্রী-স্বাধীনতা চাই-ই চাই’ এই ভাবটি তাঁহাদের মনের ভিতর প্রবিষ্ট করিয়া দিয়া তাঁহাদিগকে খেপাইয়া তোলা হয়, তবে যাঁহারা ঐ মতানুসারে কার্য করিতে প্রবৃত্ত হইবেন তাঁহারা স্ত্রীস্বাধীনতার যে-একটি ভালো আদর্শ আছে তাহা অমান্য করিয়া প্রথর স্ত্রীস্বাধীনতার দিকেই আপনাদের সমস্ত বিদ্যাবুদ্ধি বল পৌরুষ প্রয়োগ করিবেন ইহা সম্ভব বোধ হয়; এইজন্য আমরা বলিতে চাই যে, যখনই স্ত্রী ও পুরুষদিগের মধ্যে মেলামেশার কথা উত্থাপন করা হয় তখনই এই বিষয়ে পাঠককে সাবধান করিয়া দেওয়া উচিত যে, স্ত্রীস্বাধীনতা মাত্রা অতিক্রম করিলে তাহা ঘোরতর বিষাক্ত হইয়া উঠে। ভা. স.

    স্ত্রীস্বাধীনতা মাত্রা অতিক্রম করিলে তাহা দোষাক্রান্ত হয় ইহা লেখক স্বীকার করেন— সে মাত্রা যে কতটুকু তাহা গড়ে জনসাধারণে বিদিত আছে, তাহার কোনো বৈজ্ঞানিক পরিভাষা সম্ভবে না। ভা. স.