পাতা:য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র

কিনা দেখেন; ভালো মাংস এনেছে কিনা, ওজনে কম বেশি হয়েছে কিনা সে সব দেখেন। রাঁধুনির সঙ্গে মাঝে মাঝে রান্নাতে যোগ দেন। এই রকম ব্রেক‍্ফাস্টের পর থেকে প্রায় বেলা একটা দেড়টা পর্যন্ত তাঁকে নানাবিধ কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। মাঝে মাঝে তাঁর সঙ্গে তাঁর বড়ো মেয়ে যোগ দেন। মেজ মেয়ে Miss J দেখি, প্রত্যহ একটি ঝাড়ন নিয়ে drawing-room সাফ করেন। দাসীরা ঘর ঝাঁট দিয়ে যায়, আর জিনিসপত্রে যাকিছু ধুলো লাগে তা তিনি নিজের হাতে ঝেড়েঝুড়ে সাফ করেন। এখানকার অনেক ভদ্রপরিবারেই drawing-roomএর জিনিসপত্র সাফ করবার ভার বাড়ির মেয়েরাই নেন, দাসীদের হাতে পাছে জিনিসপত্র ভেঙে যায় বা ভালোরূপে পরিষ্কার না হয়। তৃতীয় মেয়ে Miss A বালিসের আচ্ছাদন আসন মোজা কাপড় প্রভৃতি নানাবিধ সেলাইয়ে নিযুক্ত হন, চিঠিপত্র লেখেন, একএকদিন বাজনা ও গান অভ্যেস করেন। বাড়ির মধ্যে তিনিই গাইয়ে-বাজিয়ে। আজকাল স্কুল বন্ধ, ছোটো ছেলেটি ও মেয়েটি ভারী খেলায় মগ্ন। দেড়টার সময় আমাদের lunch খাওয়া আছে। lunch সমাপন করে আবার যিনি যাঁর কাজে নিযুক্ত হলেন। এই সময়ে visitorদের আসবার সময়। হয়তো Mrs. K Mr. Kর এক জোড়া ছেঁড়া মোজা নিয়ে চশমা পরে drawing roomএ বসে সেলাই করছেন। Miss A একটি পশমের জামা তাঁর ভাইপোর জন্যে তৈরি করে দিচ্ছেন। Miss J একটু অবসর পেয়ে আগুনের কাছে বসে হয়তো Green's History of the English People পড়তে নিযুক্ত হয়েছেন। বড়ো Miss K হয়তো তাঁর কোনো আলাপীর বাড়িতে visit করতে গিয়েছেন। তিনটের সময় হয়তো একজন visitor এলেন। দাসী drawing

২০৬