পাতা:য়ুরোপ-ভ্রমণ - নরেন্দ্রকুমার বসু.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ফ্লরেন্স।

 প্রাতে ১০টায় রোম হইতে বহির্গত হইয়া বেলা ২৪ টার সময় ফ্লরেন্স পৌঁছিতে হয়। পথে রেলের দুই ধারে, পাহাড় ও জঙ্গল, মাঝে মাঝে কর্ষিত প্রাপ্তর ও দ্রাক্ষাক্ষেত্র। পাহাড়গুলি সবই লতা-পাদপমণ্ডিত, মধ্যে মধ্যে পাহাড়ের নিম্নগ অঙ্গে দ্রাক্ষাক্ষেত্র। ফ্লরেন্সের অনেক দূর হইতে আর্ণো নদী রেলের পাশে পাশে উঁকি ঝুঁকি মারিয়া চলিতেছে, দেখা যায়।

 আমার সহিত গাড়িতে সহযাত্রী একজন জর্ম্মাণ চিকিৎসক ছিলেন। ভদ্রলোক প্রাচীন ও প্রবীণ। তাঁহার ইংরাজী ভাষাতে ব্যুৎপত্তিও যথেষ্ট। নানা সদালাপে সময় কাটিল।

 ফ্লরেন্স অতি সমৃদ্ধিশালী ও অতি সুন্দর নগর। বাস্তবিক ফ্লরেন্সে একটি মাধুরী ও Holiday garbএর ভাব আছে যাহা আর কোনও স্থানে দেখি নাই। সহরটি বেশ বড়, কিন্তু এ সহরে যে লোক দৈনন্দিন কার্যকলাপ করে বা অন্নের চেষ্টায় ব্যস্ত থাকে তাহা সহজে অনুভব করা যায় না।

 ফ্লরেন্সে প্রাসাদ অনেক, বাস্তবিকই কলিকাতা অপেক্ষা ফ্লরেন্সই বোধ হয় City of Palaces নামের অধিক উপযুক্ত। বহু পুরাকালীন প্রাসাদে বড় বড় কড়া লাগান আছে, তাহাতে কোরে মশালধারীরা মশাল, আটকাইয়া রাখিত। ফ্লরেন্স শিল্পকলাপ্রসিদ্ধ ইটালির মধ্যে শিল্পকলার জন্য সর্ব্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ। শিল্প বলিতে যাহ। কিছু বুঝায় ফ্লরেন্সে সে সমস্তই খুব উৎকর্ষ লাভ করিয়াছিল।