পাতা:য়ুরোপ-ভ্রমণ - নরেন্দ্রকুমার বসু.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հեr যুরোপ-ভ্ৰমণ । ষ্ট্রীট প্রভৃতি প্ৰসিদ্ধ রাস্ত পার হইয়া লণ্ডনের উত্তরে ফিন্সবেরী নামক স্থানে বাসায় উপনীত হইলাম । তথায় প্ৰবাসী বাঙ্গালী যুবকদিগের শীর্ষস্থানীয় শ্ৰীমান্য ফণী আমার জন্য অপেক্ষা করিতেছিলেন । সে রাত্ৰিতে আর কোথাও যাওয়া হয় নাই । আহারাদির পর ভ্রাতার সঙ্গে গল্প গুজবেই ১টা পৰ্য্যন্ত কাটাইয়া দেওয়া গেল। প্রথম দৃষ্টিতে লণ্ডনের দুইটি জিনিষ খুব নুতন বুলিয়া বােধ হয় ; এক, ইহার ঐশ্বৰ্য্য এবং দ্বিতীয়, লোকের ব্যস্ত-সমস্ত ভাব। কেহই যেন আমাদের দেশের ন্যায় ধীরে চলে না ; সকলেরই পদক্ষেপ খুব দ্রুত, সকলেরই মুখে ব্যস্ততার লক্ষণ । আর বিস্ময়কর-বোধ হয় লণ্ডনের পার্কগুলি। এত জনবহুল এবং ব্যয়বহুল সহরের মধ্যে এত বড় বড় পার্ক, এমন সুন্দরভাবে সাজ,ইয়া রাখিয়াছে। ছোট পার্কগুলি প্ৰত্যেকটি কলিকাতার ঘোড়দৌড়ের মাঠের সমান ; হাইড পার্ক ত গড়ের মাঠ অপেক্ষা কোন অংশেই ছোট হইবে না। আমি যে বাসাতে ছিলাম, তথায় একটা শুইবার ও একটা বসিবার ঘর ভাড়া লইয়াছিলাম। গৃহকত্রী আমার প্রান্তরাশের ব্যবস্থা করিতেন। অন্যান্য সময় আমি যখন যে স্থানে থাকি,তাম, সেই इigन थाई डांभ । দুইটি ঘর ও প্ৰান্তরাশের জন্য সাপ্তাহিক ২১ শিলিং বা ১৫৭০ টাকা ভাড়া দিতে হইত। অবশ্য বড় মানুষ-পাড়ায় খরচ খুব বেশী। আমার একটি বন্ধু শুধু ঘরভাড়া সাপ্তাহিক ৪ গিনি বা ৬৩ টাকা দিতেন। তবে গৃহস্থ লোকের পক্ষে আমার যায়গা বেশ ছিল। ঘর দুইটি অবশ্য আবশ্যক আসবাবে পুর্ণ। বসিবার ঘরে একটা বড় টেবল, একটা ছোট টেবিল, পাঁচখানা চেয়ার, আশি, কোঁচ, এবং শয়নকক্ষে দুইটা আল মারি, একটা দেরাজ, একটা সজ্জা টেবল প্ৰভৃতি ছিল ।