পাতা:যাঁদের দেখেছি - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
যাঁদের দেখেছি

পারেন। তবে এটা ঠিক যে, “ড্রামাটিষ্টে”র চেয়ে “প্লে-রাইটে”র কর্তব্য কঠিনতর।’

 আমি বললুম, ‘তা’হলে সেক্সপিয়র একজন “প্লে-রাইট”?’

 তিনি বললেন, ‘নিশ্চয়।’

 আমিও তাই জানতুম। বিপিনচন্দ্রের মত বিশেষজ্ঞের সমর্থন পেয়ে আমার মত সুদৃঢ় হয়ে উঠল।

 তার কিছুকাল পরে “সঙ্কল্পে”র অকালমৃত্যু ঘটল। আমি “মর্মবাণী”র সহকারী সম্পাদক। “নারায়ণ” আত্মপ্রকাশ করেছে। বিপিনচন্দ্রের সঙ্গে আলাপ করতে “নারায়ণ” কার্যালয়ে যাই মাঝে মাঝে। একদিন তিনি আমার কাছে একটি ছোটগল্প চাইলেন। “কুসুম” নামে একটি গল্প লিখে তাঁর হাতে অর্পণ করলুম। পরদিন রচনাটি আমাকে ফিরিয়ে দিয়ে তিনি বললেন, ‘এ শ্রেণীর গল্প “নারায়ণে” চলবেনা।'

 গল্পটি “মর্মবাণী”র জন্যে ছাপাখানায় পাঠিয়ে দিলুম। প্রুফ এল। অন্যতম সম্পাদক অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ তা পাঠ ক’রে বললেন, ‘এরকম গল্প “মর্মবাণী”তে বেরুতেই পারে না।’

 সেখান থেকেও বিতাড়িত হয়ে “কুসুম” অবশেষে আশ্রয় পেলে “ভারতী”র অঙ্কে। সম্পাদক স্বর্গীয় মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায় গল্পটি পাঠ ক’রে খুব প্রশংসাই করলেন। কিন্তু গল্পটির গল্প এখনো শেষ হয়নি।

 তারপর কেটে গেল এক যুগ। জার্মানীর বার্লিন সহর থেকে ডক্টর রাইনহার্ড ভাগনার নামে এক ভাষাতত্ত্ববিদ পত্র লিখে আমাকে জানালেন, তিনি আমার কয়েকটি গল্প জার্মান ভাষায় তর্জমা করবেন এবং সেজন্যে আমার সম্মতি চান। তাঁর দ্বারা নির্বাচিত গল্পগুলির মধ্যে “কুসুম” ও স্থান পেয়েছে দেখলুম।

১০০