উস্কোখুস্কো চুল— অতি সাধারণ চেহারা। কিন্তু ওরই মধ্যে তাঁর সেই অসাধারণ প্রতিভাদীপ্ত চক্ষুদুটিই তাঁকে রাজপথের জনতার ভিতর থেকে পৃথক ক’রে রেখেছিল। আমি তাঁর সামনে গিয়ে প্রণাম করতেই করুণ স্বরে বললেন, ‘হেমেন্দ্রবাবু “অ্যাপোপ্লেক্সি” আমাকে আক্রমণ করেছে। কে যেন হঠাৎ ঘাড়ের উপরে ধাঁ ক’রে চড় মারলে, সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে গেলুম। ডাক্তাররা বলেন, আবার এ ব্যাপার হ’লে আর বাঁচব না। তাঁদের হুকুমে এত সাধের মদ্যপানও ত্যাগ করেছি।’
কিন্তু সেইদিনই রাস্তার উপরে দাঁড়িয়েই তিনি সাহিত্যের -স্বাভাবিকতা ও অস্বাভাবিকতার কথা পেড়ে বললেন, ‘পুরীষও স্বাভাবিক, কিন্তু তাই ব’লে পুরীষ কি সাহিত্যে স্থান পাবার যোগ্য?’
এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন উৎকট বাস্তবতার ভক্ত অতিআধুনিক লেখকরা।
দ্বিজেন্দ্রলালের সঙ্গে আর দেখা হয়নি। কারণ কয়েকদিন পরেই শুনলুম, সন্ন্যাস রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে তিনি কেবল “সুরধাম” নয়, ইহধাম ত্যাগ করেছেন।
৪৯