পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NOo যাত্রাবদল । আমন বিষয়-সম্পত্তি পাওয়া কি সোজা কথা আজকালকার বাজারে ? আবার অনেকেরই চোখ টাটালো । এ-সব হ’ল গিয়ে ও-বছর ফাগুন মাসের কথা । গত বছর বোশেখ মাসে নিসু চৌধুরী মারা গেল। জর হয়েছিল, অবনী ভাল ভাল ডাক্তার দেখালে, খুলনা থেকে নৃপেন ডাক্তারকে নিয়ে এল-বিস্তর পয়সা খরচ করলে, অবনীর বীে মেয়ের মত সেবা করলে--কিন্তু কিছুতেই কিছু হ’ল না । অবনী বৃষোৎসর্গ শ্ৰাদ্ধ করলে খুব ঘটা ক’রে, সমাজ খাওয়ালে-তা সবাই বললে দেখে শুনে যে নিজের ছেলে থাকলে নিসু চৌধুরীর-সেও এর বেশী আর কিছু করতে পারত না । তারপর এখন ওরাই সম্পত্তির মালিক, অবনী নিজেও খাটিয়ে ছেলে, কোনো নেশা-ভাঙৰ করে না, অতি সৎ । কাজেই বিষয় উড়িয়ে দেবে সে ভয় নেই, দেখে শুনে খাবার ক্ষমতা आCछ । তাই বলছিলাম, ভগবান যাকে দেন, তাকে এমনি করেই দেন। ওই অবনীর বেী আঁচল পেতে চাল ধার ক’রে নিয়ে গিয়েচে আমার মাসীমাদের বাড়ি থেকে, তবে হাড়ি চড়েচে--এমন দিনও গিয়েচে ওদের । আমার মাসীমার বাড়ি ওদের একই পাড়ায় কিনা ? তারই মুখে সব শুনতে পাই। আর তারাই এখন দেখো ইণ্টার ক্লাসে-ভগবান যখন যাকে অবনীর বৌটি খুব ভাল, অত্যন্ত গরিব ঘরের মেয়ে ছিল, পড়েছিলও তেমনি গরিবের ঘরে । সে নাকি মাসীমার কাছে বলেচে। যা কোনদিনও স্বপ্নেও ভাবিনি দিদি তাই যখন হ’ল, এখন ভাবি, ভগবান সব বঁচিয়ে বৰ্ত্তে রাখলে হয় । গরিব লোকের কপাল, ভরসা করতে ভয় পাই দিদি। প্ৰথম যে-দিন বাড়িতে ঢুকুলাম, দেখি এ যেন রাজবাড়ি, অতি ঘরদের অত বড় জানলা দরজা, এতে আমার ছেলেমেয়ের বাস কত্তে পারবে, জানি তো কি অবস্থায় ছিলাম, তোমার কাছে আর কি লুকুবো ? এ যেন সবই স্বপ্ন ব’লে মনে হয়েছিল। এখন ব্ৰতটা নেমটা ক’রে,