পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यद्वक् لوG\ ডেকে বললেন-ভূপাল সিং, এখানে ভাল সিগারেট পাওয়া যায়। কিনা দেখে এসনইলে কঁচি নিয়ে এস এক বাক্স আমায় বললেন-ও অনেক দিন পরে আপনার সঙ্গে দেখা । আর বলেন। কেন, বিষয় থাকলেই হাঙ্গামা আছে। সামনে আসচে। জানুয়ারী কিন্তীতহশীলদার বেটা এখনও এক পয়সা পাঠায় নি, লিখেচে এবার নাকি কলাই ফসল সুবিধে হয়নি। তাই নিজে যাচ্ছি মহালে, মাসখানেক থাকবো । গাড়ীটা এখানে আসে কটায় ? ভাল কথা এখানে টাইম টেবেল কিনতে পাওয়া যাবে ? কিনতে ভুল হয়ে গেল হাওড়ায়— আমি জিগ্যেস করলাম-আপনার পিসীমা ? দারোয়ান সিগারেট নিয়ে এল। পূৰ্ণবাবু একটা সরু ও সুদীর্ঘ হােল্ডার বার করলেন, আমার দিকে একটা সিগারেট এগিয়ে দিয়ে বললেন-আসুন। তারপর সিগারেট ধরিয়ে আরামে ধোঁয়া ছেড়ে বললেন-পিসীমা মারা গিয়েচেন আর-বছর কাৰ্ত্তিক মাসে। তারপর থেকেই বিষয়-আশয়ের ঝঞ্চাটে পড়েচি-নিজে না দেখলে কি জমিদারী টেকে ? আর এই বয়সে ছুটোছুটি ক’রে পারিনে, একটা ভাল কাজ-জানা লোকের সন্ধান দিতে পারেন। রামরতনবাবু ? টাকা চল্লিশ মাইনে দেব, খাবে থাকবে ওয়েটং রুমে বসে পূৰ্ণবাবু দু বোতল লেমনেড খেলেন এই শীতকালে। একবার দারোয়ানকে দিয়ে গরম জিলিপী আনালেন দোকান থেকে, একবার নিমকী বিস্কুট আনালেন। আর একবার নিজে ষ্টেশনের বাইরের দোকান থেকে এক ডজন কমলালেবু কিনে আনলেন । আমায় প্ৰতিবারেই খাওয়ানোর জন্যে পীড়াপীড়ি করলেন, কিন্তু আমার শরীর খারাপ, খেতে একেবারেই পারিনে, সে কথা। জানিয়ে ক্ষমা চাইলাম। একটুপরেই পূৰ্ণবাবুর ট্রেন এসে পড়ল। দিন পনের কুড়ি পরে আবার বেড়াতে গিয়েচি ষ্টেশনে। সেদিন শীত খুব পড়েচে, বেশ