পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উইলের খেয়াল VS জ্যোৎস্না, রাত আটটার কম নয়। ষ্টেশনের রাস্তা যেখানে ঠেকেছে সেখানে চপকাটলেট-চায়ের দোকান থেকে কে আমার নাম ধ’রে ডাকলে-ও রামরতনবাবু —এই যে—এদিকে-ফিরে চেয়ে দেখি পূর্ণবাবু একটা কোণে টেবিলে বসে। পূৰ্ণবাবুর মাথায় একটা পশমের কান-ঢাকা টুপি, শালের কম্পার্টার গলায় জড়ানো, হাতে দস্তানা। আমায় বললেন—আসুন, বসুন কিছু খাওয়া যাক। আজ ফিরে এলাম মহাল থেকে—এই রাতের গাড়ীতে ফিরব কলকাতায় -কিছু খাবেন না ? --না, না, খেতেই হবে কিন্তু, সেদিন তো কিছু খেলেনন-এই বয়, ইধর আও আমাকে জোর করে পূর্ণবাবু চেয়ারে বসালেন। তারপর তঁর নিজের জন্যে যা খাবার দিলে, তা দেখে আমার তা হৃৎকম্প উপস্থিত হ’ল । এত খাবেন কি ২ করে পূর্ণবাবু এই বয়সে আর একটা অতি বাজে দোকানে, থান আষ্ট্রেক চপ, খানচারেক কাটলেট, এক প্লেট মাংস, পাউরুটি, ডিমের মামলেট, পুডিং, কেক চা-তিনি কিছু বাদ দিলেন না। আমাকে দেখিয়ে বললেন- এই, বাবুকে ওয়াস্তে এক প্লেট মাটন আউর তিন পিস আমি সবিনয়ে বললাম-আমার শরীর তো জানেন পূৰ্ণবাবু ওসব কিছু अभि -আরে, তা হোক, শরীর শরীর করলে কি চলে ! খান খান-মাংসটা বেশ করেচে-কলকাতায় মাংস রাঁধতে জানে না মশাই রেক্টরেন্ট-আমি ঝাল পছন্দ করি, কলকাতায় শুধু মিষ্টি-খেয়ে দেখুন মাংসটা-কাটুলেটেও এরা কঁাচালঙ্কা-বঁটা দিয়েচে-ভারি চমৎকার খেতে-এই বয়, আউর দুটো কাটলেট কথাটা শেষ হবার আগেই তার বেজায় কাশির বেগ হ’ল-কাশতে কাশতে দম আটকে যায়। আর কি ! একটু সামলে বললেন-বডড ঠাণ্ড লেগেচে মহালে-সেই জন্যে বেশ একটু গরম চা-চপ খেয়ে দেখবেন ? ভারি চমৎকার চপ করেচে ! এই বয়,-