পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সার্থকতা \ আরও কত শত দরকারী কাজ তার জন্যে অপেক্ষা করে আছে হোসঙ্গাবাদের কাঠের গোলায়। ] এখন নতুন পথ ধরে চলাবার মত সময়ও নেই, বয়েসও নেই। সাফল্যের আলেয়া তাকে ব্যর্থতার যে-পথে পথ ভুলিয়ে নিয়ে চলেচে-সেই পথই তার পথ । তৰু এই দিনটি সে ভুলবে না। এই স্নান মেঘলা দুপুরের আলো, এই প্ৰাচীন জগডুমুর গাছটা, এই পানা-শেওলা-ভরা ডোবা এই আশ্চৰ্য্য অদ্ভুত জীবনমুহূৰ্ত্তটীি স্বপ্নের মত মনে আসবে বহুদূর উত্তরকালের মানসপটে । সকলের প্রশংসাবাদের মধ্যে ননী একদিন গ্রামের বারোয়ারী ফাণ্ডে শ’দুই টাকা দিলে। গ্রামের সকলকে নিমন্ত্রণ করে হারাণ রায়ের বাড়ীতে ভূরিভোজে আপ্যায়িত করলে। একটী অনাথ বিধবাকে মাসিক কিছু সাহায্য করবার প্ৰতিশ্রুতি দিলে। এক সপ্তাহ প্ৰায় কেটে গেল। ননীর স্ত্রী আর থাকতে চায় না, ম্যালেরিয়ার দেশ, ছেলেমেয়ের শরীর খারাপ হবে -তা ছাড়া হারাণ রায়ের বাড়ী তেমন ঘরদোর নেই, থাকবারও কষ্ট । নতুন মোটরগাড়ী চালিয়ে হারাণ রায়ের বাড়ীশুদ্ধ সকলের এবং পাড়ার সবারই চোখের জলের মধ্যে ননী গ্রাম থেকে বিদায় নিলে । পষ্ণু মুখুয্যে বল্লেন : একেই বলে ছেলে। ! বিদেশে না বেরুলে কি পয়সা হয় বাপু ? দেখে নিলে তো চোখের ওপর ? তা তোমাদের বলি, তোমরা তো শুনবে না ? গাঁয়ে কারুর কিছু নেই, তাই মধু লাহিড়ী মুখের সামনে বড়মানুষী চালে কথা বলে পার পায়। দেখি, এবার বেরিয়ে একটা কিছু যদি