পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գe যাত্রাবদল বাড়ী গিয়ে মাকে লাজুক মুখে বল্লুম-আমি আর ইস্কুলে পড়বো না মা ! আমার ক্লাসের ছেলেরা ছোট ছোট, আমার লজ্জা করে ওদের সঙ্গে পড়তে মা অবাক হয়ে বল্পেন-কেনিরে তোর বয়স কত হয়েচে ? --তুমিই বলনা কত হয়েচে ? -এই তেরোয় পড়বি আষাঢ় মাসে-বারো বছর ন” মাস চলচে-ও বয়সে কেউ বুঝি সিক্স্থ ক্লাসে পড়ে ? --না, তুমি একেবারে বুড়ো হয়ে গিয়েচ-তোমার দাত পড়ে গিয়েচে, চুল পেকে গিয়েচে-তুমি কি আর সিক্স্থ ক্লাসে পড়তে পারো ? পাগলা একটা কোথাকার মায়ের কথায় আমার মনের সন্দেহ দূর হােল না। নিজের ছেলেকে কেউ ছোট দেখে না-ওঁরাই আমায় ছোট বলেন, কই আর তো কেউ বলে না ? হায় আমার সে তেরো বছর বয়েসের শৈশব ! এখন সেই কথা ভাবি । বয়েস আর কমলে না-বেড়েই উঠতে লাগল। বাকী ক’বছরের মধ্যে আমার চেয়ে বড় কোনো ছেলে এসে ভৰ্ত্তি হোল না। আমার ক্লাসে, আমিই সকলের ‘দাদা’ রয়ে গেলুম। এর পরে ক্লাসে আমি পড়াশুনোতে খুব ভাল হয়ে ফাষ্ট্র, সেকেণ্ড হয়ে উঠা তাম-কিন্তু তাতে আমার গৌরব বাড়লো না। আমি সকলের চেয়ে বয়েসে বড়, আমি পড়াশুনোতে ভাল করবো, এতে বাহাদুরীটা কি ? এই সময় আবার আমার গোপ বেরুল একটু একটু-সেই dreaded গোপ, যার কথায় চিরকাল খোটা খেয়ে আসচি-যখন সত্য সত্যই সেটা বেরুলোতখন মরিয়া হয়ে সহ্য করলুম। প্ৰথম প্ৰথম বড় লজ্জা হোত-শেষে সয়ে গেল। একবার আমাদের ওখানে রামেন্দুবাবু উকীলের বাড়ীতে তার ভাগ্নে এলতার নাম প্ৰসাদ, কলকাতায় কলেজে বি, এ পড়ে। খুব ভাব হয়ে গেল তার সঙ্গে-হঠাৎ কথায় কথায় একদিন সে তার বয়েস বল্পে উনিশ বছর, আমি মনে