পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাইশ বছর। qS হিসেব করে দেখলুম। আমারও ওই বয়েস-অথচ আমি এবার ম্যাটিক দেবো।-- আর ও পড়ে বি, এ, থার্ড ইয়ার ক্লাসে। ক্লাসের সবাই ঠিক বলে, আমার বয়েস বেশী, আমি যে পড়া-শুনোতে ভাল করবো, এ আর বিচিত্র কি ? ম্যাটিক দেবার সময়ে হেড মাষ্টারের কাছে ফৰ্ম্ম লিখবার সময় অন্য সব ছেলে লিখলে ষোল, সতেরো । ধীরেন বলে একটা ছেলে ষোেলর চেয়েও কম। বলে তাকে হেড মাষ্টার পরীক্ষা দিতেই দিলেন না-আর আমি লজ্জায় মুখ নীচু করে, কান লাল করে বয়েসের জায়গায় লিখলুম-উনিশ বছর ক” মাস। এমন বিড়ম্বনাতেও মানুষে পড়ে ? এই সময় আমি আর এক দুর্ভাবনায় পড়ে গেলুম। অনেক দিন আগে আমার আটা, ন’ বছর বয়েসে আমার মামা এসেছিলেন। আমাদের বাড়ীতে । তার গোফ বেরিয়েছিল, খুব লম্বা চওড়া-ৰ্তাকে আমার খুব বড় বলেই মনে হোত-আমি র্তার বুকে হেলান দিয়ে বসতাম। সে সময়—আমাকে কঁধে পিঠে করে নিয়েও কত খেলা করেচেন। তখন শুনেছিলাম মা’র মুখে যে মামার বয়েস বাইশ বছর । উঃ, সে কত বয়েস ? তার ওদিকে তখন ভাবতেই পারতুম না, আমার শৈশব মনের জগতের অনন্তকাল সমুদ্রে ‘বাইশ বছর’ বলে একটা পরিচিত, একটা সুদূর দ্বীপ ছিল-আমার বয়োবৃদ্ধ মামা ছিলেন সেই দ্বীপের অধিবাসী-তার ওদিকে কি আছে আমি জানতাম না, ভাবতেও চেষ্টা করিনি তখন ; সেই থেকে বাইশ বছরের সম্বন্ধে আমার একটা ধারণা ছিল-যে যা’র বয়েস বাইশ বছর, তার জীবন ফুরিয়ে ५éक ! এই ম্যাটিক দেবার বছরে আমার হঠাৎ মনে হোল, আমার বয়েস কুড়িতে পড়বার আর দেরী নেই-এবং সেই ভীষণ বাইশ বছরে আসবার দেৱী মাত্ৰ দুটী বছর । আরও মুস্কিল বাধল। এই যে-এতদিন ছিল গোপ, এইবার আমার এমন অবস্থাতে এসে পৌছুতে হোল যে দাড়ী না কামালে আর চলে না। গোপ ও