পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o श्यांदगाव् মাঝে আর একবার রাঘাঘাটে গেলাম। বন্দিনাথকে বাড়ীতে না দেখিতে পাইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম-বন্দিনাথ কোথায় দেখাচিনে যে ? শুনিলাম সে বাড়ীতে প্ৰায় থাকে না, দু’বেলা খাওয়ার সময় হাজির হয় মাত্র, ষ্ট্রেশনের কাছে-কোন পাউরুটির দোকানে তার আডডা-সেখানে দিন-রাত বসিয়া ইয়ার্কি দেয় । বাড়ীর ছেলেমেয়েরা তাহার নামে নানা অভিযোগ উত্থাপিত করিল। দাদার মেয়ে বলিল-আমার সে সাবানখানা বদিনাথ কাকা কেড়ে নিয়েচে, বল্লে-যদি না দিস তোকে মেরে চিংড়ি মাছ বানাবো । সন্ধ্যার সময়ে মোহিত ডাক্তারের ডিসপেনসারিতে বসিয়া চা খাইতেছিবন্দিনাথ আসিয়া বলিল-চাের আনা পয়সা দিন, বৌদি বলে দিলেন বাজার থেকে আলু নিয়ে যেতে হবে। বদিনাথের উপর মনটা তত প্ৰসন্ন ছিল না, কিন্তু পয়সা দিতে গিয়া মনে মনে ভাবিলাম-যাই হোক, দুষ্ট মিই করুক আর যাই করুক, বাসার একটু আধটু সাহায্য তো ওকে দিয়ে হচ্চে।-বয়েস কম, দুষ্টমি একটুআধটু করেই থাকে ! দু’তিন দিন পরে বৌদি আবার কতকগুলি নূতন অভিযোগ বন্দিনাথের বিরুদ্ধে যখন আনিলেন-তখন ওই কথাই আমি বলিলাম। বৌদি বলিলেন-কবে কোন কাজ করে ও ? কে বলেছে তোমায় ঠাকুর-পো ? শুধু খাওয়া আর পাউরুটির দোকানে না কোথায় বসে ইয়ার্কি দেওয়া, এ ছাড়া আর কি কাজ ওরা ? বলিলাম-কেন, হাট-বাজার তো প্রায়ই করে। এই তো সেছি ; তুমিই ওকে বাজার কৰ্ত্তে দিয়েছিলে, আলু না কি-এর আগেও তো অনেকষ্ট, বৌদিদি বিস্মিত হইয়া বলিলেন-আমি ? কিবে-কৈ আমার তো মনেঃ * না, কে বল্পে ? আমি বলিলাম-বলবে। আবার কে ? আচ্ছা দাড়াও, ভজিয়ে দিচ্চি ।