পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wR যাত্রাবদল পূজার পর দেখা যাইবে। দু’জোড়া কাপড় কেন, এখন এক জোড়াই চলুক, একটা সার্টেই পূজা কাটিয়া যাইৰে এখন। জুতা একেবারেই নাই ? পায়ের মাপটা দিলে। বরঞ্চ আসচে শনিবার চীনে বাড়ী- , পূজার সপ্তমীর দিন একটা ঘটনা ঘটিল। বৈঠকখানায় বসিয়া দৈনন্দিন বাজার হিসাব লিখিতেছি, বাহির হইতে অপরিচিত চড়া গলায় কে বলিল-এইটো কি সামন্ত পাড়ার বিনোদ চৌধুরীর বাড়ী ? জানাল দিয়া মুখ বাড়াইয়া বলিলাম, -- আমারই নাম। কি চাই ? মড়াইপােড়া বামুনের মত চেহারা একটা পাকসিটে গড়নের লোক ঘরে প্রবেশ করিল। মাথার চুল কঁাচায় পাকায় মেশানো, আর লম্বা লম্বা, গায়ে আধ ময়লা গেঞ্জির ওপরে একটা চাদর । হাত জোড় করিয়া নমস্কার করিয়া বলিল-ভালোই হলো, আপনার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। প্ৰণাম হই চৌধুরী মশায়। কথাটা বলতেই হয় শেষকালটা। আপনার ছোট ভাই সুরেন আমাদের দোকান থেকে বিস্মিত হইয়া বলিলাম-আমার ছোট ভাই সুরেন ? হ্যা, ঐ যে লম্বা, একহার কালোমত চেহারা, ছোকরা ষোল-সতেরো বছর। বয়স বুঝিতে বিলম্ব হইল না লোকটা কাহার কথা বলিতেছে। বলিলাম। হ্যা, কি করেচে। শুনি ? কি আর করবে, সর্বনাশ করেছে মশাই। আমাদের ঐ ইষ্টিশানের মোড়ে রুটি-বিস্কুটের কারখানা আর দোকান-দেখোঁচেন বোধ হয়, বাৰু তো ওইখান দিয়েই যান আসেন। আমার নাম রতন ঠাকুর, শ্ৰীরাম রতন বাড়ুষ্যে। আজে পরিচয় দিতে লজা হয়, কি করি, পেটের দায়ে আমি বাধা দিয়া বলিলাম--তারপর কি হয়েচে বলছিলেন ? সে এক লম্বা গল্প করিয়া গেল । বদিনাথ ওখানে বসিয়া আডিডা দিত, আমার