পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दछमांथ ئيS( সহোদর ভাই এবং নাম সুরেন এই পরিচয় দিযা সেখানে খুব খাতির জমাইয়াছিল। বলিত, দাদার সঙ্গে বনিতেছে না, শীঘ্রই সে না কি পৃথক হইবে। রাধাবল্লভতলায় একখানা বাড়ী আছে, তাহারই ভাগে পড়িবে সেখানা । তখন সে-ও বতন ঠাকুরের রুটি-বিস্কুটের ব্যবসায় যোগ দিবে, কিছু মূলধন ফেলিতেও রাজী আছে । রতন ঠাকুর তাহাকে বিশ্বাস কবিয়া দোকানে বসাইয়া মাঝে মাঝে ষ্টেশনের প্ল্যাটফৰ্ম্মে নিজেব ভেণ্ডারদের কাছে যাইত-এরকম আজ মাস দুই চলিয়া আসিতেছে, রতন কোন অবিশ্বাস করিত না । ইদানীং রতন তাহারই উপব কেনা-বেচাব ভার দিঘা হয়তো দু’পােচ ঘন্টার জন্য দোকানে অনুপস্থিত থাকিত । গত কল্য রতন চাকদাষ গিষাছিল কি কাজে ; বন্দিনাথকে দোকানে বসাইয়া গিয়াছিল। আজ সকালে ক্যাশ মিলাইতে গিয়া রতন দেখে ছাব্বিশ টাকা তেরো আন ক্যাশ বাক্স হইতে উধাও হইয়াছে। নিশ্চয়ই এ ব্যদিনাথ ছাড়া আর কাহারও কাজ নয়, হইতেই পারে না, তাই সে সকালেই ছুটিয়া আমার কাছে আসিয়াছে । কোনো রকমে বুঝাইয়া ভরসা দিয়া রতন ঠাকুরকে বিদায় দিলাম। যখন আমার সহোদর ভাই বিশ্বাসে রতন ঠাকুর তাহাকে প্রশ্ৰয় দিয়াছে, তখন সে আমার যেই হোক-টাকা মারা যাইবে না রতনের । না হয়। আমি নিজেই দিব । বন্দিনাথকে রতনের সামনে ডাকানো আমি উচিত বিবেচনা করিলাম না । ঘরের ভিতর তর্কাতর্কি কথা কাটাকাটি আমি পছন্দ করি না । রতন চলিয়া গেলে ব্যদিনাথকে ডাকাইঘা বলিলাম-আমার এখানে থাক । তোমার পোষাবে না বন্দিনাথ, তুমি অন্য জায়গা দেখে নাও । বিকালে বন্দিনাথ পোটলা-পুটুলি লইযা বিদায় হইল। এর পরে বন্দিনাথকে দেখি নাই। আর অনেক দিন। মাস পাঁচ ছয় পরে ট্রেণে কলিকাতা হইতে ফিরিতেছি, বারাকপুরের প্ল্যাট