আপলুয়োনের সহিত বিতণ্ড । ዓ> দিগের স্নেহ আছে কি না, এবং তাহারা শেষ পর্য্যন্ত তাহার ভক্ত হইয়া থাকিবে কি না, ইহার পরীক্ষার নিমিত্তে তাহাদিগকে মুক্তি দিতে তিনি বিলম্ব করেন বটে। কিন্তু তুমি যে কহিতেছ, তাহাদের শেষদশ মন্দ হয়,তাহ নয়, বরং পশ্চাৎ তাহাদের অতিশয় মঙ্গল হয় জানিবা । কিন্তু বর্তমান কালে তাহাদের যে মুক্তি হয়, ইহাতে তাহাদের বড় একটা চিন্তা নাই, কেননা তাহারা স্বৰ্গীয় ঐশ্বৰ্য্যের আশাতে ধৈৰ্য্যাবলম্বন করে ; অতএব যখন তাহাদের রাজা আপন দূতগণে বেষ্টিত হইয়া আপন তেজেতে আসিবেন, তখন তাহারা সেই ঐশ্বৰ্য্য অবশ্যই পাইবে । পরে “আপলুয়োন কহিল, ভাল, তুমি পূৰ্ব্বে তাহার সেবাতে অবিশ্বাসী ছিলা, তবে এই ক্ষণে কি প্রকারে তাহার কাছে পারিতোষিকের অপেক্ষা করিতে পার ? তাহাতে - খ্ৰীষ্টায়ান কহিল, হে “ আপলুয়োন, আমি কোন বিষয়ে তাহার কাছে অবিশ্বাসী হইয়াছি ?
- আপল্লয়োন কহিল, তাহা বুঝি এখন মনে পড়ে না। যাত্রার আরম্ভে * নৈরাশ্যপন্ধে পতিত হওয়াতে তোমার নিশ্বাস রুদ্ধপ্রায় হইয়াছিল । আর তোমার অধিপতি যে পর্যন্ত তোমার পৃষ্ঠের ভার পৃষ্ঠহইতে না নামায়, তাবৎ তোমার ধৈর্য্যাবলম্বন করিয়া থাকা উচিত ছিল ; তুমি তাহ না করিয়া ভারহইতে শীঘ্ৰ মুক্ত হইবার জন্যে অপ্রকৃত সামান্য একটা উপায় চেষ্টা করিয়াছিল। তম্ভিন্ন পাপিষ্ঠের ন্যায় নিদ্রা যাইয়া আপন উত্তম বস্তু হারাইয়াছিলা, এবং সিংহ দেখিয়া ফিরিয়া যাইতে প্রায় উদূযোগ করিয়াছিল । তাহা ছাড়াও দেখাইতে পারি, তোমার যাত্রার বিষয়ে, এবং যাহা ২ শুনিয়াছ কিম্বা দেখিয়াছ, তাহার বিষয়ে কোন কথা যখন কহ, তখন মনের মধ্যে
নজ বাক্যে কিম্বা ক্রিয়াতে আত্মশ্লাঘা করিতেছ।
