পাতা:যাত্রিকের গতি.djvu/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{օ কিছু কাল পরে তিনি কোন ধৰ্ম্মবতী কন্যাকে বিবাহ করিলেন। ধৰ্ম্মবিষয়ক দুই ক্ষুদ্র পুস্তক ব্যতিরেকে তাহার আর কোন ধন ছিল না। বনিয়ন সাহেব অবকাশক্রমে ঐ দুই পুস্তক পাঠ করিয়া যদ্যপি অন্যান্য বিষয়ে পুৰ্ব্ববৎ ধৰ্ম্মহীন থাকিলেন, তথাপি তদবধি বিশ্রামদিনে ভজনালয়ে যাইতে লাগিলেন। পরে কোন দুঃখি লোকের পরামর্শানুসারে ধৰ্ম্মপুস্তকের পাঠ আরম্ভ করিলে তাহার আচার ব্যবহার অনেক শুধরাইল, কিন্তু তাহার অন্তঃকরণ তখনও পরিবর্তিত হয় নাই। অনন্তর এক দিন কোন ঘরের বারাণ্ডাতে কতিপয় ধাৰ্ম্মিক স্ত্রীলোকের পারমর্থিক কথোপকথন শ্রবণ করিলে তাছার অন্তঃকরণ কোমল হইতে লাগিল। তৎকালে তিনি যে বিবেচনা করিয়াছিলেন, তাহার এই রূপ বর্ণনা লিখিয়াছেন, “ তাযার বোধ হইল সেই স্ত্রী লোকেরা কোন সুন্দর পর্বতের পাশ্বে বসিয়া রৌদ্র সেবন করিতেছে, কিন্তু আমি হেমন্তকালীয় ঝড়েতে বসিয়া শীতে ও হিমানীতে দুঃখ পাইতেছি । তাছাতে তাহাদিগের নিকট যাইতে আমার বড় বাঞ্ছা জন্মিলেও সেই পৰ্ব্বত অতি উচ্চতর প্রাচীরে বেষ্টিত হওয়াতে যাইতে পারিলাম না। অতএব পথ পাইবার নিমিত্তে ঈশ্বরের নিকটে পুনঃ ২ প্রার্থনা করিলাম, এবং ইতস্ততে গমন করিয়া কোন দ্বারের অন্বেষণ করিলাম, কিন্তু দীৰ্ঘ কাল পর্য্যন্ত আমার সেই চেষ্টা নিস্ফল থাকিল। অবশেষে প্রাচীরের এক স্থানে একটী ক্ষুদ্র ছিদ্র দেখিয়া অতিশয় যত্ন পুৰ্ব্বক প্রথমে মস্তক, পরে স্কন্ধ প্রবেশ করাইলাম। এই রূপে অতি কষ্টে প্রাচীর, পার হুইয়া আনন্দ পুৰ্ব্বক ঐ স্ত্রীলোকদের নিকটে গিয়া তাঙ্গাদের মধ্যে বসিয়া আপনিও স্থৰ্য্যের কিরণে আমোদিত হইতে লাগিলাম।”