পাতা:যাত্রিকের গতি.djvu/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

レ* তিনি সাতাইশ বৎসর বয়ঃক্রম সময়ে বেড়ফড় নগরের মণ্ডলীভুক্ত হইলেন, এবং সুসমাচার প্রচার করণে তাহার বিশেষ নৈপুণ্য প্রকাশ পাওয়াতে কিঞ্চিৎ কাল পরে সেই কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইলেন। তাঁহার উপদেশ এমত তেজোযুক্ত যে সহস্র ২ লোক তাছা শুনিতে একত্র হইত। ১৬৬০ শালে বিদেশে প্রবাসকারি ইংলণ্ডায় রাজপুত্র পৈতৃক রাজ্য পুনঃ প্রাপ্ত হইলে অন্য অনেক ধৰ্ম্মপ্রচারকের ন্যায় বনিয়ন সাহেবও কারাবদ্ধ হইলেন, এবং বারো বৎসর পর্য্যন্ত সেই কারাকুপে থাকিলেন। সেই দুঃখের সময়ে তিনি এই গ্রন্থের প্রথম ভাগ রচনা করিয়াছিলেন । পরে ১৬৭২ শালে কারাহুইতে মুক্ত হইয় তাহার দ্বিতীয় ভাগ অর্থাৎ খ্ৰীষ্টীয়ানীর বিবরণ লিখিলেন। এই গ্রন্থ ব্যতিরেকে তিনি অন্যান্য অনেক গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন, তাহার মধ্যে ধৰ্ম্মযুদ্ধ নামক পুস্তক বঙ্গভাষাতে অনুবাদিত হইয়াছে । ইহাতে তাহার বুদ্ধির আশ্চৰ্য্য তেজ বিলক্ষণরূপে প্রকাশ পায়, কেননা যদ্যপি তিনি কোন পাঠশালাতে বিদ্যোপার্জন করেন নাই, তথাপি তাঙ্গার লিখিত পুস্তক সকল অদ্যাপি সৰ্ব্বসাধারণ লোকের অতি প্রিয় ও হিতজনক হওয়াতে পুনঃ ২ ছাপান হইয় থাকে। কারাহইতে মুক্ত হইলে পরে তিনি বেড়ফড় নগরস্থ মণ্ডলীর অধ্যক্ষ হইয়। সেই নগরে ও অন্যান্য স্থানে পুৰ্ব্ববৎ সুসমাচার প্রচার করিতেন । যখন তিনি লণ্ডন মহানগরীতে যাইতেন, তখন শীতকালে অতি প্রত্যুষে অর্থাৎ অন্ধকার থাকিতে ২ উপদেশ দিলে এক সহস্ৰ অপেক্ষা অধিক শ্রোতা একত্র হইত ; এবং বিশ্রামবারে দিবাতে উপদেশ দিলে কখন ২ তিন সহস্ৰ লোক আসিত । অবশেষে ১৬৮৮ শালে লণ্ডন নগর তাহার মৃত্যু হইল । - o