পাতা:যাত্রিকের গতি.djvu/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

`, L ම් আত্মহত্যা বিষয়ক কথোপকথন । সম্ভাবনামাত্র নাই, অতএব অবিলম্বে ছুরিকাঘাতে কিম্বা ফাশিদ্বারা অথবা বিষভক্ষণদ্বারা প্রাণ ত্যাগ করা তোমাদের মঙ্গল, কেননা যে প্রাণধারণেতে এত দুঃখ, তাছাতে কি প্রয়োজন ? তখন তাহারা কাকুতি বিনতি করিয়া কহিল, হে মহাশয়, অামাদিগকে ছাড়িয়া দিউন । তাহাতে সে মহাক্রোধেতে চক্ষু ঘূর্ণায়মান করিয়া তাহাদের প্রতি এমন আক্রমণ করিল, যে তাহাদের বাচিবার কোন ভরসা থাকিল না। কিন্তু বহুকালাবধি সেই বৃহৎকায়ের মৃগীরোগ ছিল ; তাহাতে মধ্যে ২ রৌদ্রসময়ে সেই রোগের আবেশ প্রযুক্ত ক্ষণেকের নিমিত্তে তাহার হস্ত পাদাদি অবশ হইত। অতএব এই অবসরেও সে ঐ রোগাবিষ্ট হওয়াতে আর কিছু করিতে না পারিয়া ক্ষান্ত হইল, এবং তাহাদের বিষয়ে কি করিবে, ইহা বিবেচনা করিবার জন্যে তাহাদিীকে ত্যাগ করিয়া গেল । তাহাতে বন্দি লোকেরা পরস্পর এই পরামর্শ করিতে লাগিল, তাহার ঐ পরামর্শ লওয়া আমাদিগের কর্তব্য কি না ? প্রথমতঃ * খ্ৰীষ্টীয়ান কহিল, ও হে ভাই, আমরা কি করিব ? এই দুরবস্থাতে জীবন ধারণ করা এবং একেবারে ফাশিতে গলা দেওয়া, এই দুইয়ের কি শ্রেষ্ঠ, তাহ নিশ্চয় করা ভার । অামার মন প্রাণধারণ অপেক্ষা বরং গলাটিপিতে মৃত্যু ভাল বাসে, এবং এই কারাকুপে থাকা অপেক্ষ বরং কবরপ্রাপ্তি আমার সহ্য হয়। তুমি কি বল ? অামরা সেই বৃহৎকায়ের পরামর্শ মানিব কি না ? তাহাতে • আশাবান কহিল, এই বর্তমান ভয়ঙ্কর দুদশাতে চিরকাল বাচিয়া থাকা অপেক্ষ মৃত্যুই আমারও অধিক বাঞ্ছনীয় বটে; কিন্তু ইহাতে বিবেচনা করা কর্তব্য । আমিরা যে দেশে গমন করিতেছি, সেই দেশের কর্তী কহিয়াছেন, ভূমি নরহত্যা করিও না ; অতএব অন্যকে হত্য