পাতা:যাত্রিকের গতি.djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাংসারিকবুদ্ধি । * * তাহাতে - খ্ৰীষ্টীয়ান কহিল, তাহার কারণ এই, মহাশয় যে সকল ভয়ানক বিষয় কছিলেন, তাহা অপেক্ষাও আমার এই পৃষ্ঠের ভার অধিক ভয়ঙ্কর হইয়াছে ; অতএব এই পথের মধ্যে আমি যদি এই বোঝাহইতে মুক্ত হইতে পারি, তবে যাহা ঘটে তাহ ঘটুক । তাহাতে আমার কিছুই চিন্তা নাই, জানিবা । তখন “ সাংসারিকবুদ্ধি জিজ্ঞাসিল, এই বোঝা তুমি প্রথমে কোথাহইতে পাইয়াছিলা ?

  • খ্ৰীষ্টীয়ান কহিল, আমার হস্তের এই পুস্তক পাঠ করিতে ২ পাইয়াছি । তখন * সাংসারিকবুদ্ধি কহিল, হঁ1, আমিও তাহা বুঝিয়াছি ; যাহাদের অতিক্ষুদ্র অন্তঃকরণ, তাহারা আপন অসাধ্য কোন উচ্চ বিষয়েতে হাত দিয়া হঠাৎ সমূহ মনোবৈকল্য প্রাপ্ত হয়। তুমিও তদ্রুপ, তাহ আমি দেখিতেছি । কিন্তু সে প্রকার মনোবৈকল্যদ্বারা মনুষ্যের প্রায় মুমনুষ্য হয়, তাহা কেবল নয়, বরং অজ্ঞেয় বিষয় পাইবার চেষ্টাতুে দুঃখসমূহেতেও মগ্ন হয়।

তাহাতে * খ্ৰীষ্টীয়ান কহিল, মহাশয়, আমি যাহা পাইতে চেষ্টা করি তাহা জানি, সে কি না এই ভারি বোঝাহইতে যে মুক্ত হই।

  • সাংসারিকবুদ্ধি কহিল, তুমি যদি কিঞ্চিৎ স্থির হইয়া অামার কথা শুন, তবে ঐ পথে যে ২ অাপদ অাছে, তাছাতে কোন প্রকারে না পড়, এবং তোমার বাঞ্ছিত বিষয়ও পাইতে পার, এমন এক সুগম পথ দেখাইয়া দিতে পারি। এই যে পথে তুমি যাইতেছ তাহাতে যদ্যপি এমন ঘোর আপদ থাকিল, তবে তাহাতে সুখভোগের চেষ্টাতে যাওয়া বৃথা । আর আমি যাহা বলিতেছি তাহা এক প্রকার নিকটবৰ্ত্তীও বটে, এবং তাছাতে সকল আপদ ছাড়াইয়া বরং অনেক ২ মিত্রতা ও সুখ ও শান্তি পাইতে পারিব।