পাতা:যাত্রিকের গতি.djvu/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS 8 সভয়ের বিষয়ে কথোপকথন । গাম্ভীৰ্য্যমুলক নয়, সে কিছুই নয়। বীণার স্বর সংমিলন করিতে গেলে বাদ্যকর গভীরস্বরযুক্ত তারেতেই প্রথমে হস্তাপণ করে। আর ঈশ্বর যখন আপনার নিমিত্তে মনুষের চিত্তযন্ত্রের স্বর মিলন করেন, তখন তিনিও প্রথমে গম্ভীর স্বরযুক্ত তার বাজান। কিন্তু ঐ সভয়ের এই জুটি ছিল, যে প্রায় জীবনান্ত পর্য্যন্ত ঐ গভীর স্বর ব্যতিরেকে অন্য কোন স্বরে বাদ্য করিতে পারিত না । দেখ, পরিত্রাণ প্রাপ্ত ব্যক্তির তুরী ও বীণা বাদন পূর্বক লিংহাসনের সম্মুখে গানকারি বাদ্যকরস্বরূপ, ইছ প্রকাশিত ভবিষ্যদ্বাক্যে ব্যক্ত আছে। এই জন্যে আমি অল্পবয়স্ক পাঠকদিগের জ্ঞানবদ্ধক দৃষ্টান্তদ্বারা এই বর্ণনা করিলাম । অপর * সরলাত্মা কহিল, আপনকার কথাতে বোধ হইতেছে, সে * সভয় অতি উৎসাহশীল লোক ছিল ; কেনন। সিংহ ও * মায়াছটাদি বাহ্য সঙ্কটে তাহার কিঞ্চিম্মাত্র শঙ্কা ছিল না ; সে কেবল পাপ ও মৃত্যু ও নরক ভয়ঙ্কর জ্ঞান করিত ; যেহেতুক সে স্বৰ্গরাজ্যের অধিকারী কি না, এই বিষয়ে তাহার সংশয় হইত।

  • মহোৎসাহ কহিল, আপনি ষথার্থ কহিয়াছেন ; ঐ বিষয়ই তাহার আশঙ্কার কারণ ছিল বটে, কেননা ঐ বিষয়ে তাহার মনের বিশেষ দুর্বলতা ছিল ; নতুবা যাত্রিকের কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্মে সে ক্ষীণসাহস ছিল না, বরঞ্চ বোধ হয়, সে সমুদ্রকেও গোস্পদ জ্ঞান করিয়া আপন পথে অগ্রসর কইত। কিন্তু যেরূপ ভাবনার ভারে সে ভারগ্রস্ত ছিল, অনায়াসে কেহ সেই ভার ফেলিয়া দিতে পারে নগ্ন ।

এই সকল কথা শুনিয়া - খ্ৰীষ্টীয়ানী কহিল, "সভয়ের বিবরণ প্রবণে আমার অনেক সাত্বন হইল। পুৰ্ব্বে ৰোধ