পাতা:যাত্রিকের গতি.djvu/৪৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধুছন্তার দৌরাত্ম্য। JyO জগভ্রাতা শুষ্ক ভূমিহইতে উৎপন্ন চারাস্বরূপ, এবং তাহার রূপ সৌন্দৰ্ঘ্য কিছুই ছিল না, এমত কথা উক্ত আছে কেন ? • মহোৎসাহ কহিল, প্রথম কথার অর্থ এই, * খ্ৰীষ্ট যে যিহূদীয় মণ্ডলীহইতে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন, সে মণ্ডলী তৎকালে ধৰ্ম্মের তেজ ও গুণরহিত ছিল। আর দ্বিতীয় কথা অবিশ্বাসিদের কথা জানিবা ; ফলতঃ অবিশ্বাসিরা পারমার্থিক চক্ষুীন, আমাদের প্রভুর অন্তঃকরণ দেখিতে পারে না, এই জন্যে তাহার সামান্য বাহ আকৃতি প্রযুক্ত তাঙ্গাকে তুচ্ছ জ্ঞান করে। যেমন কোন অজ্ঞান লোক মৃত্তিকাচ্ছন্ন রত্ন কুড়াইয়া পাইলে সামান্য প্রস্তর বুঝিয়া ফেলিয়া দেয়, সেই রূপ। অনন্তর গৃহপতি • গায় কহিল, তোমরা এত লোক এখানে আছ, এবং * মহোৎসাহ অস্ত্র ধারণে পটু; অতএব যদি আপনকাদের সম্মতি হয়, তবে আইস আমরা কিঞ্চিৎ আছে।রাদি করণানন্তর প্রাস্তরে গিয়া দেখি, কোন হিতকৰ্ম্ম করিতে পারি কি না ? এই স্থান হইতে অৰ্দ্ধ ক্রোশ অন্তরে “ সাধুছন্ত নামে এক বৃহৎকায় থাকে ; তাহার বাসস্থান আমি জানি । সে অনেক তস্করের কৰ্ত্তা, এ অঞ্চলের রাজপথে বড় উপদ্রব করে । অতএব আমরা তাহাকে নষ্ট করিতে পারিলে বড় ভাল হইবে। এই কথাতে সকলে সম্মত হইলে * মহোৎসাহ ঢাল ও খড়ন ও শিরস্ত্র এবং অন্য সকলে বড়শা ও লগুড় হস্তে করিয়া চলিল। পরে ঐ বৃহৎকায়ের গহ্বরের নিকটে উপস্থিত হইয়া তাহারা দেখিল যে * ক্ষীণমনা নামে এক জন তাহার হস্তগত অাছে। তাহার দাসের সেই ব্যক্তিকে পথ হইতে ধরিয়া আনিয়া দিয়াছিল। ঐ দুরাত্মা মাংসাশী, এই নিমিত্তে তাহাকে খণ্ড ২