পাতা:যাত্রিকের গতি.djvu/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধৈৰ্য্য ও সধৈৰ্য । ●● অপর “ শ্রীষ্টীয়ান * অর্থকারককে জিজ্ঞাসিল, হে মহাশয়, এই ব্যাপারের তাৎপৰ্য্য কি ? আমাকে সুন্দর রূপে বুঝাইয়া বলুন । তাহাতে * অর্থকারক কহিতে লাগিলেন, শুন, এই দুই ৰালক দৃষ্টান্তস্বরূপ, ফলতঃ * অধৈৰ্য্য সাংসারিক লোকের দৃষ্টান্ত, এবং * সধৈৰ্য্য পারমার্থিক লোকের দৃষ্টান্ত; কেননা * অধৈৰ্য্য যেমন এই ক্ষণে, অর্থাৎ এই বৎসরে, তাবৎ বস্তু চাহে, তেমনি সাংসারিক লোকদেরও সমস্ত উত্তম বিষয় এই ক্ষণে না হইলেই নহে; তাহারা আগামি বৎসর অর্থাৎ পরকাল পর্য্যন্ত উত্তম বিষয়ের অপেক্ষা করিয়া থাকিতে পারে না। ডালে স্থিত দুই পক্ষি অপেক্ষা হস্তগত এক পক্ষী উত্তম, এই যে লৌকিক বাক্য, তাহ। পারত্রিক মঙ্গলবিষয়ে ঈশ্বরের দত্ত সমস্ত প্রমাণ অপেক্ষ। তাহাদের কাছে অধিক মান্য হয়। সে যাহা হউক, তুমি যেমন নেকড় বিনু তাহার আর কিছু থাকিতে দেখ নাই, জগতের শেষে সেই লোকদিগেরও তেমনি দশা হইবে। পরে - খ্ৰীষ্টীয়ান কহিল, ইহাতে আমার স্পষ্ট বোধ হয় - সধৈৰ্য্যের বিবেচনা অতি উত্তম, কেননা সে উত্তম বস্তু পাইবার অপেক্ষাতে স্থির থাকে; দ্বিতীয় হেতু এই, যে যখন * অধৈৰ্য্যের কেবল নেকড়া বিনা অার কিছু থাকিবে না, তখন তাহার সকল উত্তম বস্তু শোভা পাইবে। - তাহাতে “ অর্থকারক কহিলেন, ইহাতে তুমি আরো একটি হেতু দেখাইতে পার, ফলতঃ পারত্রিক ঐশ্বৰ্য্য নিত্যস্থায়ি, কখন জীর্ণ বা লুপ্ত হয় না, কিন্তু ঐহিক ঐশ্বৰ্য্য অতি শীঘ্ৰ নষ্ট হয় । অতএব * অধৈৰ্য্য অগ্রে ঐশ্বৰ্য্যশালী হওয়াতে “ সধৈর্য্যকে যে উপহাস করিয়াছিল, ইহাও বড় যুক্তিসিদ্ধ নছে ; বরং * সধৈর্য্য শেষ