পাতা:যাত্রিকের গতি.djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ ধর্মিষ্ঠার সছিত্ত কথোপকথন । য়াছি, অতএব এই ক্ষণে তোমার যাত্রা বিষয়ের বৃত্তান্ত কহ, তাহা শুনিয়া আমরাও হিতোপদেশ পাইতে পারি। তাহাতে - খ্ৰীষ্টীয়ান কহিতে লাগিল, আপনারাও যে এই প্রকার কথা ভাল বাসেন, ইহাতে আমি বড় সন্তোষ পাই ।

  • ধৰ্ম্মিষ্ঠ জিজ্ঞাসিল, যাত্রিকের ধৰ্ম্মে তোমার প্রবৃত্তি প্রথমে কিসেতে জন্মিয়াছিল? .

তাহাতে • খ্ৰীষ্টীয়ান কহিল, তাহার কারণ এই, আমরি কর্ণে এক ভয়ঙ্কর শব্দ শ্রবণ হইয়াছিল, সে কি ন৷ অামি যদি এই স্থানে থাকি, তবে আমার নিস্তার না হইয়া পদে ২ সৰ্ব্বনাশ ঘটিৰে । অতএব এই রূপ বাণী শুনিয়া অামি স্বদেশহইতে প্রস্থান করিলাম । তখন - ধৰ্ম্মিষ্ঠা জিজ্ঞাসিল, সে দেশহইতে তুমি কি প্রকারে এ পথ দিয়া আসিয়াছ ? তাহাতে - খ্ৰীষ্টীয়ান কছিল, তাহা ঈশ্বরের ইচ্ছাতে হইয়াছে। কেননা আমি যখন সৰ্ব্বনাশের ভয়েতে ভীত হইয়া রোদন করিতেছিলাম, তখন কোথায় যাইব তাহার কিছুই স্থির করিতে পারি নাই, কেবল দাড়াইয়া কাদিতেছিলাম। এমন সময়ে “ মঙ্গলব্যঞ্জক নামে এক ব্যক্তি হঠাৎ আমার নিকটে আসিয়া আমাকে ক্ষুদ্র দ্বারের নিকটে যাইতে দেখাইয়া দিলেন। তাহার সহিত যদি সাক্ষাৎ ন হইত, তবে আমি কখন সেই দ্বার পাইতাম না। এই রূপে অবিচ্ছেদে এই গৃহ পৰ্য্যন্ত আসিয়াছে যে পথ, তাহাতে তিনি আমাকে প্রবিষ্ট করাইলেন। পরে “ ধৰ্ম্মিষ্ঠ জিজ্ঞান্সিল, তুমি কি : অর্থকারকের বাটী দিয়া আইস নাই ? তাহাতে খ্ৰীষ্টীয়ান কহিল, ই আসিয়াছি, এবং সে.খানে যে ২ আশ্চর্য্য বিষয় দেখিয়াছি তাহা জীবন থাকিতে