পাতা:যুক্তিচিন্তামণি - প্রথম খণ্ড.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪ ) এত সুক্ষমত্বানুস্থ ক্ষমত্ব যে, তাহ কোনক্রমেই মানববুদ্ধিতে নি শ্চিত হয় না। এস্থানে ভূতাতীত পরমকারুশিক পরমেশ্বর যে কিরূপ সুক্ষমতম পদার্থ, কি প্রকারে নিশ্চিত হইতে পারে । এমতে সেই জগত কারণকে রাত্মনাছগোচর বলিয়া ক্ষান্ত দেওয়া হইয়াছে। ইহাতেই অজ্ঞজনের স্থলকে সাঁকার স্বক্ষমকে নিরাকার বলিয়া তাছাই তাহার যথার্থ স্বভার নিরূপণt. ভিমান করিয়া থাকেন, বাস্তবিক তাঞ্ছার সেই পরম সুক্ষম স্ব ভাবের নিরূপণ সাকার বা নিরাকার, কিছুতেই হইতে পারেন। কাযেই মিতঃস্থ মনবুদ্ধির অগোচর বলিয়া গ্রসিদ্ধরূপে ক্ষান্ত হইয়া আসিয়াছে। অতএব নিরর্থক তচেষ্টায় বাগ মনোবুদ্ধির চালনা না করিয়া সুযুক্তিক্রমে সেই ভববন্ধু পরমেশ্বরের অল্পস স্বান করা কর্তব্য হইল্লে-অগোচর চিন্তা পরিহার পূর্বক সুক্ষমানু স্থম্বন ক্রমে মনোবুদ্ধির ষেপৰ্য্যন্ত গোচর হইতে পারে, তাহারি চেষ্টা কৰ্ত্তব্য বিবেচনায় দেখাযায় যে যখন মনবুদ্ধির অগম্য হইলেই তাছাকে নিরাকার বলিয়া ক্ষান্ত দেওয়া ছয়, তখন ম ন এবং বুদ্ধি ঈশ্বর নিরূপণে চিন্তা করিয়া বাহাই ঈশ্বর বিবেচ ब्रीं করে, তাহাকেই কোন এক পদার্থ এবং সাকার বলিতে झझे বে । বিশ্লেযু ইহাঙ প্রসিদ্ধ কথিত তাছে যে পরমেশ্বর বোধ জ না আকার বিশিষ্ট বটেন, ইহাতে নিশ্চয়ানুসন্ধান পাওয়া যায় যে তিনি স্বভাবতঃ মনবুদ্ধির অগম্য এবং বোধাতিরিক্ত বিধায় বোধ হেতু আকার বিশিষ্ট হইয়াছেন । অতএব স্পষ্ট প্রতীয়মান হইতেছে যে যাহাই বোধ হই তে পারে, তাহাই অবয়ব সম্পন্ন ; সুতরাং জ্ঞানগম্য পর্যন্ত সাকার বলিতে বাধা দেখা যায় না, তৎপর জ্ঞানাতীতের