* 8 যুগণাঙ্গুরীয় । । বাসীরাও কেহ উপস্থিত নাই। এ পর্য্যন্ত ধনদাস ভিন্ন গৃহস্থ কেইও জানে না যে, কে পাত্র— কোথাকার পাত্র । তবে সকলেই জানিত ষে, যেখানে আনন্দ স্বামী বিবাহের সম্বন্ধ করিয়াছেন, সেখানে কখন আপাত্র স্থির করেন নাই । তিনি যে কেন পাত্রের পরিচয় ব্যক্ত করিলেন না, তাহ তিনিই জানেন—তাহার মনের কথা বুঝিবে কে ? একটা গৃহে পুরোহিত সম্প্রদানের উদ্যোগাদি করিয়া একাকী বসিয়া আছেন। বাহিরে ধনদাস একাকী বরের প্রতীক্ষা করিতেছেন। অন্তঃপুরে কন্যাসজ্জা করিয়া হিরন্ময়ী বসিয়া আছেন—আর কোথাও কেহ নাই। হিরন্ময়ী মনে মনে ভাবিতেছেন—“এ কি রহস্য! কিন্তু পুরন্দরের সঙ্গে যদি বিবাহ ন হইল—তবে যে হয় তাহার সঙ্গে বিবাহ হউক—সে আমার স্বামী হইবে না।” এমন সময়ে ধনদাস কন্যাকে ডাকিতে আসিলেন । কিন্তু তাহাকে সম্প্রদানের স্থানে লইয়া যাইবার পূর্বে, বস্ত্রের দ্বারা তাহার দুই চক্ষু দৃঢ়তর
পাতা:যুগলাঙ্গুরীয় - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।