*६भ्य श्रृंग्निरtछ्लू । ২৩ একদিন হিরন্ময়ী অমলার গৃহে শয়ন করিতে আসিলে পর, অমলাতাহাকে কহিল,“সংবাদ শুনিয়াছ, পুরন্দর শ্রেষ্ঠ না কি আট বৎসরের পর নগরে ফিরিয়া আসিয়াছে।” শুনিয়া হিরন্ময়ী মুখ ফিরাইলেন-চক্ষুর জল অমল না দেখিতে পায়। পৃথিবীর সঙ্গে হিরন্ময়ীর শেষ সম্বন্ধ ঘুচিল । পুরদর তাহাকে ভুলিয়া গিয়াছে। নচেৎ ফিরিত না। পুরন্দর এক্ষণে মনে রাখুক বা ভুলুক, তাহার লাভ বা ক্ষতি কি ? তথাপি যাহার স্নেহেঁর কথা ভাবিয়া যাবজ্জীবন কাটাইয়াছেন, সে ভুলিয়াছে ভাবিতে হিরন্ময়ীর মনে কষ্ট হইল। হিরন্ময়ী একবার ভাবিলেন—“ভুলেন নাই—কতকাল আমার জন্ম বিদেশে থাকিবেন ? বিশেষ তাহাতে র্তাহার পিতার মৃত্যু হইয়াছে—আর দেশে না আসিলে চলিবে কেন ?” আবার ভাবিলেন, “আমি কুলটা সন্দেহ নাই—নহিলে পুরন্দরের কথা মনে করি কেন ?” অমল কহিল, “পুরন্দরকে কি তোমার মনে পড়িতেছে না ? পুরন্দর শচীসুত শেঠির ছেলে।”
পাতা:যুগলাঙ্গুরীয় - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।