পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ । ev) করাইয়াছেন। ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিত লোক কুপিত হইলে জ্ঞান থাকে না। যদিই নালিস করে ? করলেই বা কি ? উভয়ের সম্মতিতে কাজ ! না না, খোরাকপোষাকের খরচ বোধ হয় ধরিয়া লইতে পারে। ছিঃ ! ছেলেটা কি কাণ্ড বাধাইল ! একবার ইচ্ছা হইল তাহাকে ধরিয়া জুতাপেটা করেন। আমনি মনে হইল, তিনিও যৌবনকালে এরূপ অনেক ইয়ারকী দিয়ছেন। আবার ভাবিলেন, আচ্ছা দেখা যাউক না, কি ব্যাপারটা দাড়ায়। অমনি মনে হইল, যে বড়ঘরে ছেলেটার বিবাহের প্ৰস্তাব” হইতেছে, যদি এখন একটা গোলযোগ উঠে, বিবাহটা ভাঙ্গিয়া যাইবে । কি করা যায় ? দূর হোক, কিছু টাকা দিয়া মিটাইয়া ফেলা যাক। এইরূপ নানা প্রকার চিন্তাষ্ট্র জমিদার বাবুর সেদিনকার অপরাহ্ ও রাত্ৰি অতিবাহিত হইয়া গেল । পরদিন প্ৰাতঃকালে উঠিয়াই তর্কভূষণ মহাশয় কৈলাসকে ডাকাইলেন। কৈলাস আসিলে বলিলেন, “কৈলাস । একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, বেশ করে ভেবে চিন্তে উত্তর দেও ! তোমার যে সৰ্ব্বনাশ ঘটবার ঘটেছে, মেয়েটার যে সৰ্ব্বনাশ হবার হয়েছে ; আজি না হোক কাল লোক-জানাজানি হবে ; পাপ কখনও গোপন থাকে না ; যদি একটু লোক-জানাজানির কষ্টটা সািহতে পাের, তা হলে একবার ঐ দুৰ্ব্বত্তেদিগকে একটু শিক্ষা দেওয়া যায়৷ ” এই বলিয়া রামহরি মিত্রের সহিত র্তাহার যে কথাবাৰ্ত্তা হইয়াছিল, আনুপূৰ্ব্বিক সমুদায় বর্ণন করিলেন। কৈলাস । মহাশয় আমার অভিভাবক, আপনি যা ভাল বোঝেন করবেন ; তবে কিনা তা হলে আমি আর গ্রামে থাকতে পারবো না। তর্কভূষণ। আরে সে কষ্ট ত আছেই। মেয়েটাকে অন্যস্থানে পাঠালে আর কি ? কত লোকের মেয়ে তা বাজারে দাড়ায়, তারা কিরূপে গ্রামে থাকে ?