পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७2र्थम °ब्रििgश्व চলিতেছে, ইতিমধ্যে দ্বারে একখানা গাড়ী আসিয়া লাগিল। নশিপুর গ্রামে আসিবার রাস্ত কঁাচা । কেবল গ্রীষ্মকালে দুই একখানা ঘোড়ার গাড়ী কখনও কখনও দেখা যায় ; অন্য সময়ে গাড়ী আসিবার যে নাই, নৌকাতেই গতায়াত হইয় থাকে। দ্বারে গাড়ী লাগিবা মাত্ৰ কৰ্ত্তা বুঝিলেন, বিজয়ার গাড়ী দ্বারে লাগিয়াছে। অমনি নম্ভের শাস্তুকটি টেকে গুজিয়া গাত্ৰোত্থান করিলেন। বিজয় তাহার সর্বকনিষ্ঠা ভগিনী। তঁহার পিতার তিন পুত্র ও জয় বিজয়া নামে দুই কন্যা হয়। তন্মধ্যে দুই পুত্র ও এক কন্যা অসময়ে গত হইয়া বৃদ্ধ বয়সের সন্তান ঐ বিজয়ামাত্র অবশিষ্ট আছে। সুতরাং বিজয় তাহদের বড় আদরের ধন। তঁহার শ্বশুরালয় চানকের নিকট ; কিন্তু তিনি স্বীয় পতি ও দেববদিগের সহিত কলিকাতাতেই বাস করিতেন । কয়েক মাস হইল, একটী পুত্র ও একটী কন্যা লইয়া অকালে বৈধব্য-দশা প্রাপ্ত হইয়াছেন। পুত্রটার নাম ইন্দুভূষণ ; বয়ঃক্রম দশ এগার বৎসর। বালকট) একহারা গৌরবর্ণ, নাকটা টিকল, চক্ষুদ্বয় বিশাল ও উজ্জল, মস্তকে ঘন আকুঞ্চিত কেশজাল। কন্যাটার নাম বিন্ধ্যবাসিনী, বয়ঃক্রম ছয় সাত বৎসরের অধিক হইবে না ; তাহারও শরীরের কান্তি নিখুঁত বলিলে হয়। বিজয়ার গাড়ী দ্বারে লাগিবা মাত্র, পাড়ার বালকবালিকাগণ, যাহারা গোবৎসটাকে লইয়া ক্রীড়া করিতেছিল, সকলেই খেলা ফেলিয়া চুটিয়া আসিল। কেহ বা চিত্ৰাপিতের ন্যায় অশ্বদ্বয়ের গতিবিধি লক্ষ্য করিতেছে ; কেহ বা গাড়ীর অভ্যন্তরস্থ ব্যক্তিদিগের প্রতি একদৃষ্টি চাহিয়া আছে; আবার কোন কোন বালক অশ্বদ্বয়কে লক্ষ্য করিয়া বলিতেছে, “ঘোঁড়া, ঘোড় ঘোড়াতে যাবি, ঘোড়া বেগুন পোড়া খাবি-” ইত্যাদি। গাড়ী দাড়াইবামাত্র ভবেশ গাড়ী হইতে অবতরণপূর্বক হাত ধরিয়া ইন্দুভূষণ ও বিন্ধ্যবাসিনীকে নামাইল এবং