পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q R * যুগান্তর প্ৰমোদ করাতেই কি এত অপরাধ ? ইত্যাদি । মনে মনে এরূপ বিচার করিবার সময় হরচন্দ্ৰ বোধ হয় অনুভব করিতে পারিলেন না, যে এই আত্ম-প্ৰবঞ্চনার পথ অতি পিচ্ছিল । পতনের অগ্ৰে লোকে আপনার অপরাধকে এইরূপেই লঘু করিয়া থাকে। যাস্থ্য হৌক অন্তু রাত্রে অনুতাপের বেগটা পূৰ্ব্বদিনের পৃষ্ঠায় প্রবল রহিল না । τr: পরদিন পাতে চিমু ও জহরলাল পরামর্শ করিল, যে সেদিন রাত্রে বাইদিগকে তাহদের বৈঠকখানাতে আনিয়া আমোদ করিতে হইবে । সেখানে নশিপুরের দলটি ব্যতীত বাহিরের লোক কেহ থাকিবে না । কারণ, বাহিরের লোক থাকিলে অসংকোচে আমোদ করিতে পাৱা যায় না । তদনুসারে বাইদিগের সঠিত সেইরূপ বন্দোবস্ত হইল। অপরাহে এই কথা হরচন্দ্রের কর্ণগোচর হইল। তিনি একবার মনে করিলেন, সে দিন। আর বাজাইবেন না । আবার ভাবিলেন, তৎপর দিবস ত তাহার শ্বশুবালয়ে যাইবার কথা আছে ; আর এক রাত্রি বই ত নয়। যাহা হইবার তাহা ত হইয়া গিয়াছে { বিশেষতঃ অদ্যকার রাত্রে বাহিরের লোক কেন্দ্ৰ থাকিবে না । এই সকল ভাবিয়া বাজাইবার বিষয়ে তাহার মনে আর আপত্তি রহিল না । সন্ধ্যার পরে বাইদিগের দুই জন নশিপুরের বৈঠকখানাতে আসিল । পাছে বাহিরের কোনও লোক আসে, এজন্য চিমু বৈঠকখানা বাড়ীর প্রবেশের দ্বার বন্ধ করিয়া দিয়া আসিল ! ক্ৰমে নৃত্যগীত আরম্ভ হইল । হরচন্দ্ৰ বাজাইতেছেন ; কিন্তু অদ্যকার মজলিসে নৃত্যগীতের আয়োজন করা বৃথা ! চিমু ও জহরলালের উদ্দেশ্য আমোদ করা, অর্থাৎ মাতলামি করা ; সুতরাং নৃত্যগীতে তাহাদের মন নাই ৷ সন্ধ্যা না হইতেই তাহারা একটু একটু সুরা পান করিতেছে ; এবং বাইদ্বয় আসিবামাত্র তাহাদিগকে সুরা পান করাইয়াছে। কিয়ৎক্ষণ পরেই সুরার