পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> VIR . ጳ যুগান্তর গ্রহণের শক্তি জন্মিয়াছিল ; অতএব বিজয়ার ন্যায় কেবলমাত্র অনুবাদ র্তাহার ভরসা নহে। তিনি পূর্বোক্ত শ্লোকটী কণ্ঠস্থ করিলেন। যখন তখন উহা উচ্চারণ করেন ; এবং আপনার মনে মনে বলেন, “ঠিক, ঠিক, এই ত কথা ।” বস্তু ত একই, নামভেদ মাত্র ; লোকে না জানিয়া ক্ষুদ্র করিয়া ফেলে ও বিবাদে সময় পৰ্য্যবসান করে । ইহা শুনিয়া সকলেই বোধ হয় বুঝিতে পারিতেছেন, যে যেমন টিকা কি গুলের আগুন অজ্ঞাতসারে একটা হইতে আর একটিতে লাগিয়া যায়, তেমনি বিজয়ার হৃদয়ের বিশ্বাসের অগ্নি ইতিমধ্যেই হরচন্দ্রের হৃদয়ে লাগিয়া গিয়াছে। কেনই বা লাগিবে না ? বিজয়া প্ৰতিদিন দিবা দ্বিপ্রহরের সময়ে ও রাত্ৰি ১১টা ১২টা পৰ্য্যন্ত হরচন্দ্রের সহিত যাপন করেন। দুইজনে কেবল ঐ কথা । স্বর্ণরৌপ্যাদি কঠিন ধাতু সকল অনলের উত্তাপে যখন দ্রবীভূত হয়, তখনি তাহাদিগকে পিটিয়া মনোমত করিয়া গড়িতে পারা যায়। তেমনি মানব-মন অনুতাপানিলে যখন তরুলতা-প্রাপ্ত, তখনি তাহাকে গড়িতে পারা যায়। সুতরাং বিজয়ার হৃদয়ের ভাব অতি সহজেই হরচন্দ্রের অন্তরে মুদ্রিত হইয়া গেল। তিনি বিজয়ার সহিত এক ভাবাপন্ন হইয়া পড়িলেন। আধ্যাত্মিক সাহচর্য্যের এমনি গুণ যে অন্তরে অন্তরে বিজয়ার প্রতি হরচন্দ্রের প্রগাঢ় শ্রদ্ধা ও অনুরাগ জন্মিল। তাহার বোধ হইতে লাগিল যে ঐ নারীমূৰ্ত্তি তঁহার উদ্ধার সাধনের জন্য প্রেরিত দেবকীন্যাস্বরূপ } বিজয়ারও হৃদয়ের গভীর স্নেহ হরচন্দ্রের উপরে ন্যস্ত হইল । পূর্বে তিনি অপরাপর ভ্রাতুষ্পপুত্রদিগকে যেরূপ সাধারণ প্রীতির চক্ষে দেখিতেন, তেমনি তঁাপ্তাকেও দেখিতেন। মধ্যে র্তাহার স্বাভাবি চরিত্রের বিষয় শুনিয়া বরং অশ্রদ্ধাই জন্মিয়াছিল ; কিন্তু এক্ষণে র্তাহার অকৃত্রিম অনুতাপ ও নবজীবনের সঞ্চার দেখিয়া