পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ > Vyv8) তাহার উপরে প্রগাঢ় ভালবাসা জন্মিল ; এবং সেই ভালবাসা, চিন্তা ও ভাবের বিনিময় দ্বারা, দিন দিন বদ্ধিত হইতে লাগিল । রাত্রে তাহারা উভয়ে যখন ধৰ্ম্মতত্ত্বের আলোচনাতে ও শাস্ত্ৰচৰ্চাতে নিযুক্ত থাকেন, তখন কোথা দিয়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতিবাহিত হইয়া যায় তাহা বুঝিতেও scsa ভাগবতের পূৰ্ব্বোক্ত শ্লোকটর ন্যায় গীতার কয়েকটা শ্লোকও হরচন্দ্রের স্মৃতিতে লাগিয়া গেল । যথা :- অপিচেৎ সুদুরাচারে ভজতে মামনন্যভাক । সাধুরেব স মন্তব্যঃ সমাগ ব্যবসিতো হি স: | ক্ষিপ্ৰং ভবতি ধৰ্ম্মাত্মা শাশ্বচ্ছান্তিং নিগচ্ছতি । কৌন্তেয় প্ৰf ৩ জানাহি ন মে ভক্তঃ প্ৰণশ্যতি ৷ অর্থ :-“মানুষ যদি দুরাচারদিগের অগ্রগণ্য ব্যক্তিও হয়, তথাপি যদি আমাকে অনন্যমান হইয়া ভজনা করে, তবে সেই একাগ্ৰচিত্ত ব্যক্তিকে সাধু বলিয়া জানি ও ; কারণ সে ত্বরায় ধম্মাত্মা হয় ; এবং নিত্য শান্তি লাভ করে । হে অৰ্জ্জুন! নিশ্চয় জানিও, আমার ভক্ত কখনও বিনষ্ট হয় না ।” গীতা, ১ম অধ্যায় ৩০|৩১ শ্লোক । হরচন্দ্র আপনার মনে মনে এই শ্লোকদ্বয় যখন উচ্চারণ করতেন, তখন চক্ষের জল রাখিতে পারিতেন না। তঁহার বোধ হইত স্বয়ং ভগবান তা স্থাকে। এই প্ৰতিজ্ঞা জানাইতেছেন। তিনি চক্ষের জলে ভাসিয়া বলিতেন, “ভগবান! তোমার ভক্ত কখনও বিনাশ পাইবে না ? তবে কৃপা করা যেন আমি অনন্যগতি হইয়া তোমাকে ভজনা করিতে পারি।” এইরূপে কথকতা শ্রবণ, ভাগবত ও গীতা পাঠ, এবং সর্বোপরি বিজয়ার পবিত্র সাহচৰ্য্য, এই ত্ৰিবিধ কারণে এক মাস অতীত না হইতেই