পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ S(ንዓ . তুমি আমার যাবার বিষয়ে দাদার মত করে নেবে। তিনি কি তোমার কথা শুনবেন ? বিশেষ, এখন তোমার উপরে চটে আছেন।” হর। তুমি দেখো, তুমি তবে বাবাকে চেন না ; বাবা বিজ্ঞ মানুষ, এমন কথা বলবো যে একেবারে তলিয়ে বুঝতে পারবেন, ও মত দেবেন। তিনি হাজার চটুন, অল্প বাপেই ছেলে মেয়েকে এত ভালবাসে। তিনি আমার কথা নিশ্চয়ই রাখবেন। বিজয় । আমার যাওয়াটা বড় সহজ কথা নয় ; আমি ভেবে দেখব । এ বিষয়ে অনেক ভাববার আছে। এই কথোপকথনের পর বিজয়া মির্জনে অনেক ভাবিয়া দেখিলেন । দুষ্ট দিন পরে একদিন প্ৰাতে হরচন্দ্ৰকে বলিলেন, “আমি ঠিক করেছি, আজ দাদাকে তোমার বিষয় বলবো ।” সেই দিন মধ্যাহ্নে আহারান্তে । তর্কভূষণ মহাশয় নিজ শয়নগৃহে বিশ্রাম করিয়া উঠিয়া বসিয়াছেন, এমন সময়ে বিজয়া তথায় উপস্থিত হইলেন । তর্কভূষণ মহাশয় জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি বিজয়া, কোনও কথা আছে নাকি ?” বিজয় । এক মাসের অধিক কাল হয়ে গেল, হার বড় ক্লেশ। *ft&; বাড়ীর বাহির হয় না ; কেবল ঘরে বিষন্ন হয়ে বসে থাকে , মধ্যে মধ্যে কঁদে ; তোমার সম্মুখে আসতে সাহস করে না । তুমি মাপ না করলে ত সে বঁাচে না । তর্কভূষণ। আর মাপ কি ? কাজটা অতি গৰ্হিত করেছিল, শুনেছি সেজন্য অনুতপ্ত হয়েছে। জগদম্বা তাকে সুমতি দিয়েছেন, সৌভাগ্যের বিষয় ; চুকেই গেছে ; এখন ভাল হয়ে চলুক । বিজয়ী। তার মনে ত একটা প্ৰতিজ্ঞ হয়েছে, যে সে কলকেতায় বড় | কৰ্ত্তার কাছে গিয়ে থাকবে ও যেরূপে হোক আপনার অবস্থার উন্নতি •: করবার চেষ্টা করবে ।