পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ዓbr 히항 এই প্রকার ধৰ্ম্ম, নীতি ও সমাজসংক্রান্ত বিষয়ে কথোপকথন হইত। বিদ্যারত্ন মহাশয় অনেক বিষয়ে তাহার পিতার অপেক্ষা অনুদার লোক, কিন্তু দোেষই বলুন আর গুণই বলুন, তাহার একটা স্বভাব আছে। তিনি গৃহের তত্ত্বাবধান বিষয়ে অতি উদাসীন। কে কি করিতেছে, সেদিকে র্তাহার বড় একটা দৃষ্টি নাই। বিশেষতঃ, তিনি গৃহে অল্প সময়ই থাকেন। প্রাতে গঙ্গাস্নানে বাহির হইয়া যান, স্বানান্তে রাজবাড়ী হইয়া পূজাদি সারিয়া প্ৰায় ১২টার সময় গৃহে প্ৰত্যাগত হন । আহারান্তে বিশ্রাম করিয়া কিয়ৎকাল দুই একজন ছাত্ৰকে , একটু পড়াইয়া রাজবাড়ীতে গমন করেন। অনেক দিন সয়ংসন্ধ্যা সেইখানেই সমাধা করেন। তৎপরে রাত্ৰি গ্ৰায় ৯টা ৯৷০ টাৱ সময়ে আসিয়া আহারান্তে শয়ন করেন। সুতরাং ভবনের মধ্যে যে নূতন চিন্তা ও ভাবের স্রোত প্ৰবাহিত হইতেছে, তাহা তিনি অনেক দিন লক্ষ্য করিতে পারেন নাই । কেবল র্তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ গিরিশচন্দ্ৰ অনুভব করিতে লাগিলেন, যে গৃহের মধ্যে যেন কি একটা হাওয়া বহিতেছে ; এবং পরিবারস্থ সকলকেই যেন উদারভাবাপন্ন করিয়া তুলিতেছে। গিরিশচন্দ্ৰ ভাবিতে লাগিলেন, কালে ইহার ফল না জানি কিরূপ দাড়ায় । বিজয়ী কলিকাতায় আসিয়া কয়েকবার তাহার কনিষ্ঠ দেবরের গৃহে গিয়াছিলেন। তঁহার দেবরের ভবনের সংলগ্ন বাড়ীতে মৃত নরোত্তম ঘোষের পরিবারগণ বাস করেন। ঐ নরোত্তম ঘোষের প্রথম পুত্রের নাম ব্রজরাজ ঘোষ। তঁহাদেরই ভবনে পূর্বোল্লিখিত নবরত্ন সভার অধিবেশন হয়। বিজয়া পধুর মুখে ঐ সভার বিবরণ অগ্ৰেই শুনিয়াছিলেন। একবার দেবরের ভবনে অবস্থানকালে ব্ৰজরাজের ভগিনী কৃষ্ণকামিনী ও তাহার মাতৃস্বাসা মাতঙ্গিনীর সহিত তাহার পরিচয় হয়। দেখিলেন, উভয়েই লেখা পড়া জানেন, এবং উভয়েই নবরত্ন সভার