পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“Э” о যুগান্তর সৰ্ব্বদা জ্ঞানালোচনা দ্বারা চিত্তের প্রশস্ততা ও জ্ঞানস্পৃহা বৃদ্ধি পাইতে লাগিল । এইরূপে একপ্ৰকার সুখেই দিন কাটিয়া যাইতেছে এমন সময়ে বঙ্গদেশে এক তুমুল আন্দোলন উপস্থিত হইল। খ্যাতনামা ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহার বিধবা-বিবাহ-বিষয়ক পুস্তক পাচার করিলেন । মধ্যরাত্রে সুষুপ্ত পল্লীর মধ্যে প্ৰকাণ্ড কামানের গোলা পড়িলে, লোকে যেমন চমকিয় উঠে, ও দিশাহারা হয়, তেমনি ঐ পুস্তক নিদ্রিত বঙ্গবাসীর চিন্তাক্ষেত্রে পতিত হইল ! যে-দেশে বিধবাদিগের প্রতি এত কঠিন শাসন, যে দেশে কিছুদিন পূর্বে বিধবাদিগকে মৃত পতির সহিত জ্বলন্ত চিন্তানলে নিক্ষেপ করা হইত ; যে-দেশে একাদশীর দিন প্ৰাণ গেলেও বিধবাদিগকে একবিন্দু জল পান করিতে দেয় না, সে দেশের বিধবাদিগের পুনৰ্ব্বিবাহের প্রস্তাব ! এ সৃষ্টি ছাড়া কথা কোথা হইতে আসিল ! কে এ বিদ্যাসাগর ? এ কিরূপ ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিত ? এ ব্যক্তি এতদিন কোথায় লুকাইয়া ছিল ? সংবাদ পত্রে, পথে, ঘাটে, যথায় তথায় এইরূপ চৰ্চা চলিল। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়দিগের টোল চতুষ্পাঠীতে এই বিচার বিশেষরূপে উঠিল। কারণ বিদ্যাসাগর মহাশয় শাস্ত্রীয় বচন উদ্ধৃত করিয়া, শাস্ত্ৰানুগত মীমাংসার দ্বারাই, বিধবার পুনৰ্ব্বিবাহ স্থাপন করবার প্ৰয়াস পাইয়াছিলেন । নশিপুরে তর্কভূষণ মহাশয়ের চতুষ্পাঠীতে এই প্রসঙ্গ উঠিলে, তিনি যে যে বচন উদ্ধত হইয়াছে ও যেরূপ মীমাংসা করা হইয়াছে, তাহ ধীরভাবে শুনিয়া বলিলেন, “যে সকল বচন উদ্ধৃত BBSDDD DDS BB D DD BBDDDBS BDDS KKDDDS মানুষটা বড় বুদ্ধিমান দেখছি ; কিন্তু এ সকল বিষয়ে শাস্ত্রীয় বিচারে ফল কি ? কোন কাজটা আমরা শাস্ত্রানুসারে করি ? এ সকল বিষয়ে দেশাচারই বলবৎ। বিশেষতঃ বিধবাদের অন্তরে এরূপ প্ৰবৃত্তির উদয় না।