পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* *३ि८छ् >br○ পুস্তকখানি যখন আসে, তখন বড় বে। সেখানে ছিলেন। তিনি রাত্ৰে সরলভাবেই স্বায় পতিকে ঐ পুস্তকের কথা বলিলেন । বিদ্যারত্ন মহাশয় যখন শুনিলেন যে পঞ্চ ঐ সর্বনেশে পুস্তক আনিয়াছে ও বিজয়াকে পড়িতে দিয়াছে, তখন তাহার এতই ক্ৰোধের আবির্ভাব হইল যে একবার মনে করিলেন সেই রাত্রেই উঠিয়া গিয়া পঞ্চুকে তাড়াইয়া দেন ; কিন্তু সে রাত্রে কিছুই বললেন না। কোনও প্রকারে ধৈৰ্য্যাবলম্বন করিয়া থাকিলেন। পরদিন প্রাতে উঠিয়াই প্রথম কৰ্ম্ম পঞ্চ ও গোবিন্দকে তাড়াইয়া দেওয়া । প্ৰাতে উঠিয়া দুইজনকে ডাকিয়া বলিলেন, “এখানে জায়গার বড় অপ্রতুল; অতিথি অভিাগত আসিলে থাকবার বড় অসুবিধা হয়, অতএব তোমরা দুদিনের মধ্যে একটা জায়গা দেখে নেও । এখানে থাকৃবার সুবিধা হবে না ।” কাহারই বুঝতে বাকি থাকিল না যে, বিধবাবিবাহ বিষয়ক পুস্তকই এই অনার্থের মূল। বিদ্যারত্ন মহাশয় বাহিরে গেলেই বিজয়া হাসিয়া বড় বেীকে বলিলেন, “বড় কৰ্ত্তার এত রাগ কেন ? তঁর কি ভয় হয় পাছে আমার মন বিগড়ে যায় ?” হাসিলেন বটে, কিন্তু আত্ম-মৰ্য্যাদাতে কিঞ্চিৎ আঘাত লাগিল ; এবং পষ্ণু ও গোবিন্দ চলিয়া যাইবে ইহা ভাবিয়া মনে ক্লেশ হইল। পষ্ণু ও গোবিন্দ অন্য স্থানে বাসা করিল বটে, কিন্তু প্ৰতিদিন সন্ধ্যার সময় আসিত। পঞ্চু, হরচন্দ্র, ইন্দুভূষণ, ও ভবেশকে ইংরাজী পড়া বলিয়া দিত, গোবিন্দ বিন্ধ্যবাসিনাকে পড়াইত, এবং পূৰ্ব্ববৎ নানাবিষয়ে কথোপকথন চলিত। বিদ্যারত্ন মহাশয় পঞ্চু ও গোবিন্দকে তাড়াইয়া নিশ্চিন্ত হইয়াছিলেন, জানিতেন না যে তাহারা প্ৰতিদিন আসে। ১৮৫৬ সালের বৈশাখের প্রারম্ভে আবার তাহাদিগকে বাটীতে আসিতে পৰ্য্যন্ত নিষেধ করিলেন । ইহার ফল এই হইল যে বিজয় তাহাদিগের সহিত সাক্ষাৎ করিবার মানসে ঘন ঘন দেবরের বাটীতে যাইতে আরম্ভ