পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ R3ta6) হবে।” কৃষ্ণকামিনী তখন আর কিছু উত্তর দিলেন না, নিজের ঘরে গিয়া চিন্তা করিতে লাগিলেন। প্ৰথমে তাহার মনে অতিশয় বিদ্রোহিতার ভাব আসিতে লাগিল। এরূপ পরাধীনতা, এরূপ বল প্রয়োগ, তাহার ভাল লাগিল না। একবার মনে করিলেন, মাতুলের কোন অনুরোধ রক্ষা করিবেন না ; আবার ভাবিলেন, চুড়ি ও পেড়ে কাপড়ে কি আছে, কেন পরিত্যাগ করিতে পারিব না ? বরং আমি যে তপস্তাতে প্ৰবৃত্ত হইব ভাবিতেছি, তাহার পক্ষে কিঞ্চিৎ কৃচ্ছসাধন ত ভালই। এই ভাবটা মনে আসাতে বৈকালের অৰ্দ্ধাশন ও একাদশীর নির্জল উপবাসের প্রস্তাবটাও তাeার চক্ষে ভাল বোধ হইতে লাগিল । কিন্তু পূজাটা করিতে মন কোনও প্রকারেই প্ৰস্তুত হইল না। তিনি নবরাজ সভার আলোচনাতে কতদিন উপস্থিত থাকিয়াছেন ; পৌত্তলিকতাকে মহাভ্ৰান্তি বলিয়া চিন্তা করিতে শিখিয়াছেন ; পৌত্তলিকতা বৰ্জন করিতে হইবে, ইহা এক প্ৰকার সংকল্প করিয়া রাখিয়াছেন ; নবীন যখন ঠাকুর প্ৰণাম না করাতে গৃষ্ঠ হইতে তাড়িত হইয়া আসিলেন, তখন তঁাহাকে মনে মনে কত প্ৰশংসা করিয়াছেন ; আজ তিনি কিরূপে নিজে ব্ৰত ও পূজা করিতে যাইবেন ? যতবার ভাবেন, কি করি, নতুবা যে মামা ভয়ানক ক্রুদ্ধ হইবেন ; অমনি মন বলে, তাহা হইলে অধৰ্ম্ম হইবে ; এবং তাহা হইলে তিনি আর নবীনচন্দ্ৰ বসুর শ্রদ্ধার পাত্ৰ থাকিতে পারিকেন না ; আমনি মন সংকুচিত হইয়া আসে। তিনি শুনিলে কি ভাবিকেন, কেবল এই চিন্তাই মনে হয় । অবশেষে ভাকিয়া চিন্তিয়া এই স্থির করিলেন যে ফলাফল যাহাঁই হউক, তিনি গঙ্গাত্মানে বাইবেন না ও পূজা করিবেন না ; চুক্তি খুলিবেন, খাজ শরিবেন, আৰ্দ্ধাশনে থাকিবেন ও নির্জলা একাদশী করবেন। কৃষ্ণকামিনী উত্তর মা কয়াতে মিজাজ মহাশয় ভাবিতে ছিকেন, “মৌনং