পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

TROR যুগান্তয় উপরে পড়িলেন। মিত্ৰজ মহাশয় আয়ও প্রহায় করিতে উদ্ভত হইয়াছিলেন, কেবল গৃহিণী উভয়ের মধ্যে পড়িয়া “কর কি ?” “কিয় কি ?” বলিয়া নিবারণ করাতে নিরস্ত হইলেন। এদিকে কৃষ্ণকামিনী আঘাত পাইয়াই হঠাৎ চক্ষে অন্ধকার দেখিয়া বসিয়া পড়িয়াছেন, ও দুষ্ট হন্তে নিজ বসনাঞ্চলে মুখ আবরণ করিয়াছেন। তঁহার দুষ্ট নাসারন্ধ দিয়া রক্তধারা বহিতেছে ; তাহাতে বসনাঞ্চল ভিজিয়া যাইতেছে। গৃহিণী ক্রুদ্ধ পতিকে ধরিয়া বাহিরে লইয়া গেলেন ; এবং অপরাপর মহিলারা কৃষ্ণকামিনীর পরিচর্য্যাতে নিযুক্ত হইলেন। মহিলাদের পূজা শেষ হইলে, কৃষ্ণকামিনী মাতুলকে জানাইলেন, যে তিনি সেই দিনই বাড়া ফিরিয়া যাইতে চান। মিত্ৰজ মহাশয়ের মন তখনও উষ্ণ ছিল ; মাতঙ্গিনীর উত্তেজনা বাক্য তখনও তঁহায় হৃদয়কে পারত্যাগ করে নাই ;-“এত বড় লোকটা” এবং “অপমান” এই দুইটা শব্দ তখনও মনের মধ্যে ঘুরিতেছিল , সুতরাং তিনি কৰ্কশাস্বরে বলিলেন, “যাক, ওর আর এখানে থেকে কাজ নেই ?” এই বলিয়া কৃষ্ণকামিনীকে গাড়ী করিয়া চাকরাণীর সঙ্গে বাড়ী পাঠাইবার জন্য আদেশ করিয়া আপীসে গেলেন । 甄。 কৃষ্ণকামিনী দুপুর বেলা চক্রাণীর সঙ্গে, চুড়িবিহীন হস্তে, থান পারিয়া, বস্ত্রের দ্বারা মস্তক বাধিয়া বাড়ীতে উপস্থিত হইলেন। তঁহার এই বেশ দেখিয়া ও প্ৰহারের বৃত্তান্ত শুনিয়া, ঘোষ গৃহিণী। ডাক ছাড়িয়া কঁাদিতে লাগিলেন । ডাক ছাড়িয়া কঁদিলে আর কি হইবে ? কৃষ্ণকামিনী আর দাড়াইতে পারিতেছে না, শয্যা পাতিয়া দেও, বোধ হয় তঁহার জর আসিতেছে। বধূগণ ত্বরা করিয়া শয্যা পাতিয়া দিল, কৃষ্ণকামিনী জাদুশয্যায় শয়ন করলেন। সন্ধ্যা আসিতে না আসিতে তাহার কৰ্ণমূল ও একদিকের গণ্ড ফুলিয়া জয় আসিল ।