পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ ૨૭૯ দুই চারিটীি মিষ্ট কথা বলিলেন, কিন্তু ঘরে প্রবেশ করিয়াই যখন দেখিলেন যে কৃষ্ণকামিনীর একদিকের গণ্ড বিলক্ষণ ফুলিয়াছে, তখন মনে এতই লজ্জা হইতে লাগিল যে আর মুখে কথা সরিল না। মৌনী হইয় তাহার শয্যার এক, পাশ্বে উপবেশন করিলেন। কৃষ্ণকামিনী চক্ষু মুদিয়া ছিলেন, মাতুল মহাশয় এক পাশ্বে বসিবামাত্র চাহিয়া দেখিলেন। এক মুহুর্তের জন্য উভয়েরই মুখে কথা নাই। ক্ৰমে কৃষ্ণকামিনী মৌনভাব ভঙ্গ করিলেন-“মামা, আপনি কি আপীস হতে আসচেন ||” উত্তর, “হা, আপীস থেকেই আসচি কৃষ্ণ, আমি সমস্তদিন মনের ক্লেশে আপীসে কাজ করতে পারি নি। রাগ চণ্ডাল, তার অধীন হয়ে সকালে যা করেছি, তা জীবনে করি নাই।” কৃষ্ণ । ( মাতুলের হস্তের উপরে নিজ হস্তখানি রাখিয়া ) কেন মামা ! আপনি মন খারাপ করেছেন, ? রাগ হবারই ত কথা, আমার বাবা থাকলে ত ওর চেয়ে রাগাতেন। না মামা, অমন করে বলবেন না, আমি জানি আপনি আমাদের ভালবাসেন, কখনও গায়ে হাত তোলেন। নি। হঠাৎ রাগ হ’য়ে গিয়েছিল, তা কি করবেন। কৃষ্ণকামিনীর এই কথাগুলিতে মিত্ৰজ মহাশয় বালকের ন্যায় নিজ হন্তে মুখ আবরণ করিয়া কঁাদিতে লাগিলেন। মাতুলের চক্ষে জল দেখিয়া কৃষ্ণকামিনী একেবারে অস্থির হইয়া পড়িলেন ; মাতুলের হাত ধরিয়া বার বার শান্ত হইবার জন্য অনুরোধ করিতে লাগিলেন। মিত্ৰজ মহাশয় অশ্রু নিবারণ করিলেন বটে, কিন্তু কৃষ্ণকামিনীকে আর কিছু ৰলিতে পারিলেন না ; যাইবার জন্য র্তাহার নিকট বিদায় লইলেন। একটা কথা কৃষ্ণকামিনীর মনে এই সময়ে ঘুরিতেছে, বলি বলি করিয়া বলিতে পারিতেছেন না ; অবশেষে বলিয়া ফেলিলেন, “মামা, উমাশঙ্কর বাবু কি বেশী দিন ও বাড়ীত্ত্বে খাৰুবেন ?” ।