পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8 R যুগান্তর নবীন তাহাকে নেপোলিয়ান বলিয়া ডাকেন। সে আসিয়া তাহার নিজের স্থান অধিকার করিবার ইচ্ছা জানাইল। নেপোলিয়ানকে যেমন তেমন আদর করিলে চলে না, স্কন্ধের উপরে বসাইতেই হইবে। দুই স্কন্ধের উপরে দুইদিকে দুইখানি পা দিয়া বসিবেন, এবং মুখে “হেট হেট!” শব্দ করবেন, তবে তার মনোমত আদর হইবে । নবীনচন্দ্ৰ তাহাকে সে স্থান দিতে অপ্ৰস্তুত নহেন, কিন্তু তৎপূর্বে নেপোলিয়ানকে কিছু করিতে হইবে । নেপোলিয়ানের অনেক প্রকার বিদ্যা আছে । তিনি নানাপ্রকার জানোয়ারের ডাক ডাকিয়া দেখাইতে পারেন, এবং অনেকের গতিবিধিরও অনুকরণ করিতে পারেন, অগ্ৰে সেগুলির একবার পরীক্ষা হওয়া চাই। নবীনচন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন,- “বাঘ কি রকম ডাকে ?”-নেপোলিয়ান । “আলুম”।-নবীনচন্দ্ৰ-“কুকুর কি রকম ডাকে ?” নেপোলিয়ান— “গেও।”-নবীনচন্দ্ৰ, “বিড়াল ?”-- “মেও” “গরু ?”—“আম্বা।” এইরূপে বেচার কঁাধে চড়িবার লোভে কতই অশ্রাব্য ও মানদের অযোগ্য ডাক ডাকিল। অবশেষে নবীনচন্দ্ৰ হাসিয়া একটা চুম্বন করিয়া স্তণ্ডাহাকে স্বন্ধের উপরে তুলিলেন। নেপোলিয়ান তাঙ্গার চিরাভ্যস্ত হেট ছোট শব্দ আরান্ত করল । এইরূপে ভ্রাতুষ্পপুত্র ও ভ্রাতুষ্পপুত্ৰীগণে পরিবেষ্টিত হইয়া নবীন ভ্ৰাতৃজায়ার অন্বেষণ আরম্ভ করিলেন। ভ্ৰাতৃজায়াকে যে অন্বেষণ করিতে চাইতেছে, ইহাতেই প্ৰমাণ যে তিনি আজি মানিনী কারণ অত্যু দিন তিনি ছেলেদের কাক! ধ্বনি শুনিবা মাত্র যেখানেই থাকেন দৌড়িয়া আসেন এবং দেবীরকে অভ্যর্থনা করিয়া থাকেন ; আজি কেন দর্শন নাই ? নবীনচন্দ্ৰ বুঝিলেন, কয়দিন না। আসার অপরাধের কিঞ্চিৎ প্ৰায়শ্চিত্ত করিতে হইবে । সুতরাং বৌদিদি, বৌদিদি ৷ করিয়া ডাকিয় বেড়াইতে লাগিলেন। অবশেষে তঁহাকে রান্নাঘরে রাঁধুনীর