পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ ..., > C é ইষ্টক বাহির হইয়া পড়িয়াছে। তবে প্রতি বৎসর বাসন্তী পূজার সময়ে এক একবার করিয়া সেই ইষ্টকেরই উপরে চুণ বুলাইয়া দেওয়া হয় বলিয়া, তাহদের আকৃতি তত চক্ষের পীড়াদায়ক নহে। বাহির বাড়ীর কোন ঘরের অবস্থা সন্তোষজনক নহে। প্ৰায় সকল ঘরেই স্থানে স্থানে বালিচুণ খসিয়া গিয়া কদাকার দেখাইতেছে ও কোনও কোনও ঘরের খিলান ফাটিয়া বৈশাখের ফুটীর ন্যায় হইয়াছে ; কেবল গোজা দিয়া কোনও প্রকারে রক্ষা করা হইতেছে। সৰ্ব্বাপেক্ষা বড় ও বৈঠকখানা ঘর যেটা, সেটার অবস্থা একটু ভাল, এত ফাটা চটা নয়। তাহাতে কতকগুলি ছবিও আছে ; বোধ হয় পািনর কি বিশ বৎসর তাহাতে কেহ হাত দেয় নাই ; কোন ছবিটার কাচ ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, কোনটার নাক মুখ পোকাতে খাইয়াছে ; দেখিলেই বোধ হয় এই বাড়ীতে এক সময়ে কেহ একজন ছিলেন, যাহার একটু ঘর সাজাইবার সখ ছিল, তঁহার পরলোক হইলে যাহারা আছে, তাহদের আর সে সখা নাই । বাড়ীর অবস্থা দেখিলে অনুমান হয়, ইহার এক সময়ে সম্পন্ন গৃহস্থ ছিল, কালক্রমে দারিদ্র্যের মধ্যে পতিত হইয়াছে ; কিম্বা গৃহস্বামীর মৃত্যু হওয়াতে বাড়ীটী বেওয়া বিধবাদিগের হস্তে পড়িয়াছে। কিন্তু বস্তুতঃ তাহা মহে । গৃহস্বামী এখনও বৰ্ত্তমান , তাহার অবস্থাও মন্দ নহে ; কিন্তু এ সকল দিকে তঁহার দৃষ্টি নাই। বাড়ীর লোকে বা সমাগত বন্ধুবান্ধবগণ মধ্যে মধ্যে বাড়ীটা মেরামত করিবার আবশ্যকতা দেখাইয়া দিলে তিনি এক একবার সজাগ হইয়া উঠেন; ব্লাজমিস্ত্ৰাদিগকে ডাকাইয়া আনেন, এবং সম্ভাবিত খরচের একটা আনুমানিক তালিকা প্রস্তুত করিতে বলেন, সেই তালিকা দেখিয়াই আবার নিরুৎসাহ হইয়া যান, বলেন, “ও এত খরচ ! থাক, হাতে টাকা আসিলে কিছুদিন পরে করা যাবে।” প্রায় দশ বৎসর অতীত