পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

❖ዓ8 যুগান্তর তিনি নিজেই দুঃখিত, সুতরাং মৌনী হইয়া থাকেন। বিবাহের দিন সন্নিকট হইলে পঞ্চ দুঃখিত হইয়া বলিয়া গেলেন, “আমি এবিবাহে আসিব না ; আপনি ঐ বালিকাটীর প্রতি মায়ের কৰ্ত্তব্য করিলেন না ।” পষ্ণু চলিযা গেলে বিজয়া মনঃক্ষুন্ন হাঈয়া রহিলেন। ক্রমে বিবাহের দিন উপস্থিত। যথাসময়ে নিমন্ত্রিত ব্যক্তিগণে বাড়ী পূর্ণ হইতে লাগিল। দুই স্থানে দুইটী আসন ও দুই স্থানে বিবাহমণ্ডপ করা হইয়াছে। কন্যাকৰ্ত্ত দুইজন।। হরিকিশোর নিজ কন্যাকে সম্প্রদান করিবেন ; এবং যুগলকিশোর বিন্ধাবাসিনীকে সম্প্রদান করিবেন। যুগলের পত্নী বিন্ধ্যবাসিনীর বরকে বরণ প্রভৃতি কন্যাকত্রীর সমুদায় কাৰ্য্য করিবেন। বিজয়ার প্রতি কেবল নিমন্ত্রিত নারীগণের তত্ত্বাবধানের ও ভাড়ার রক্ষার ভার আছে । আজি দুইটী কন্যাতে অনেক প্ৰভেদ দৃষ্ট হইতেছে। হরিকিশোরের কন্যা অষ্টালঙ্কারে ভূষিত হইয়া বসিয়া আছে ; কিন্তু বিন্ধ্যবাসিনীর অঙ্গে সৰ্ব্বসমেত একশত টাকারও গহনা হইবে কিনা সন্দেহ । এতদ্ভিন্ন আদ্যকার দিনে আর একটু পার্থক্য দৃষ্ট হইতেছে। হরিকিশোরের পত্নী মোক্ষদা, আজ এমনি সাজিয়াছেন, যে দেখিলে তিনি যে কন্যাকত্ৰী এরূপ বোধ হয় না ; বোধ হয় যেন তিনি নিমন্ত্রিত কোনও ধনীর রমণী। তাহার হাতে হাজার টাকা মূল্যের এক জোড়া বালা, ও তৎপর্শ্বে নারিকেল ফুল ; গলে পাঁচনিলি ও দক্ষিণ বাহুর উপরে সোণার বাজু, তাবিজ ও তাগা ; এবং কোমরে চন্দ্ৰ হার । তিনি দক্ষিণ বাহুখানি অনাবৃত করিদা ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন ; এবং স্বর্ণালঙ্কার দেখিয়া দেখিয়া নারীগণকে আদর করিয়া নিজের ঘরে বসাইতেছেন । সমাগতা নারীগণ সকলই তাহার বালা দেখিতেছেন, ও তাতার গড়নের অনেক প্ৰশংসা করিতেছেন । বিজয়া গরীব গোছের স্ত্রীলোকদিগকে আদর